রমজান উপলক্ষ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ইসুবগুল ও সাবুর আমদানি

সালাহউদ্দিন বকুল, হিলি প্রতিনিধি।।

পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে দেশের বাজারে বাড়তি চাহীদাকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে বেড়েছে ইসুবগুল ও সাবুর আমদানি। এসব পণ্য আমদানির ফলে সরকারের বাড়তি রাজস্ব আহরনের পাশাপাশি বন্দরের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। রাজধানী ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে জানুয়ারী মাসে ১১টি ট্রাকে ১৭৫টন ইসুবগুল আমদানি হয়েছে। একইভাবে ২৬টি ট্রাকে ৭৬৩টন সাবু আমদানি করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসে ২২টি ট্রাকে ৩৪১টন ইসুবগুল ও ৩২টি ট্রাকে ৯৩৭টন সাবু আমদানি হয়েছে। মার্চ মাসে ৩৯টি ট্রাকে ৬২৫টন ইসুবগুল ও ৩২টি ট্রাকে ৯০২টন সাবু আমদানি করা হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের ১২তারিখ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১৭টি ট্রাকে ২৭৭টন ইসুবগুল ও ১১টি ট্রাকে ৩৩১টন সাবু আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে বন্দর দিয়ে ইসুবগুল ও সাবু আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট রাশেদ ফেরদৌস বলেন, সচরাচর এসব পণ্য আমদানি না হলেও দেশের বাজারে চাহীদা থাকায় বন্দর দিয়ে কিছুদিন আগে থেকেই ইসুবগুল ও সাবু আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে রমজানকে ঘিরে দেশের বাজারে এসব পণ্যের বাড়তি চাহীদাকে ঘিরে আমদানির পরিমান বেড়েছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার আমদানিকারকগন এসব আমদানি করছেন। যা বিভিন্ন কোম্পানি কিনছেন বা খোলাবাজারে যারা শরবত বিক্রি করছেন তারা এসব আমদানিকারকদের নিকট থেকে ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করছেন। প্রতিটন ইসুবগুল ৩হাজার মার্কিন ডলার মুল্যে আমদানি করা হচ্ছে যা একই মুল্যে কাস্টমস শুল্কায়ন পুর্বক কেজি প্রতি ২২টাকা উপরে রাজস্ব আহরন করে ছাড়করন দিচ্ছে। আর সাবু সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ মার্কিন ডলার মুল্যে আমদানি করা হচ্ছে যা কাস্টমসে ৫শ মার্কিন ডলার মুল্যে শুল্কায়ন পুর্বক কেজি প্রতি ৪টাকার মতো শুল্কআহরন পুর্বক ছাড়করন দিচ্ছে।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, বন্দর দিয়ে নতুন করে ভারত থেকে ইসুবগুল ও সাবুর আমদানি বেড়েছে। ইসুবগুলে ১৫ভাগ শুল্কহার বিদ্যমান রয়েছে ও সাবুতে ৩৭ভাগ শুল্কহার রয়েছে। বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরনের পরিমান বাড়ছে। সেই সাথে আমরা চাচ্ছি বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানির অনুমোদন রয়েছে সব পণ্যগুলোই যেন আমদানি হয়। তাদের আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষনা ঠিক থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই। আমদানিকাকরা যেন দ্রæত এসব পণ্য ছাড়করন নিতে পারে সেজন্য আমরা দ্রæত এসব পণ্যের পরিক্ষন শুল্কায়ন সম্পুর্ন করে বন্দর থেকে দ্রæত ছাড়করন দেওয়ার চেষ্টা করছি। সেই সাথে পণ্য আমদানি করে কোন ব্যবসায়ীরা যাতে কোন সমস্যার সন্মুক্ষিন না হন সেজন্য কাস্টমসের উপকমিশনার মহোদয়ের নেতৃত্বে আমাদের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তারা আমদানিকৃত পন্যের পরিক্ষন শুল্কায়নসহ অন্যান্য কাজ করে যাচ্ছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি ইসুবগুল ও সাবু আমদানি হচ্ছে। এতে করে বন্দরের দৈনন্দিন আয় যেমন বেড়েছে। তেমনি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।

আরো দেখুনঃ