লেবু বিক্রি করেই চলে শাহানা সংসার
রাসেল ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ।।
লেবু বিক্রি করেই সংসার চালান শাহানা বেগম-(৫০)। স্বামীর অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নিজের কাঁধেই তুলে নেন সংসারের দায়িত্ব। গত চার বছর ধরে সংসারের ঘানি টানছেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের টি.এ.রোডের মনুমেন্টের পাশে ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত¡রের সামনে ভ্যানে করে লেবু বিক্রি করেন। তিনি সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের হানিফ মিয়ার স্ত্রী। স্বামী, চার ছেলে ও চার মেয়েকে নিয়ে সংসার শাহানার। তিনি বর্তমানে ছেলে মেয়ে নিয়ে পৌর শহরের মৌড়াইল কলেজ পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহানার স্বামী হানিফ মিয়া শহরে রিকসা চালাতেন। গত চার বছর আগে হানিফ মিয়া পাইলস রোগে আক্রান্ত হন। অসুস্থ হওয়ায় পর সে কোন কাজ-কর্ম করতে পারেন না। এরপর থেকে কষ্টে অনাহারে জীবন চলে তাদের। পরে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেনশাহানা। ভ্যানে নিয়ে নেমে পড়েন লেবু বিক্রি ব্যবসায়। শহরের টি.এ.রোডের মনুমেন্টের পাশে ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত¡রের সামনে লেবু বিক্রি করেনতিনি। লেবু বিক্রি করে প্রতিদিন ৫/৬শত টাকা রোজগার করেন। এই টাকা দিয়েই চলে শাহানার সংসার কথা হয় শাহানা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, সংসার চালাতে খুব কষ্টে আছি। স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে লেবু বিক্রি করেই কায়ক্লেশে সংসার চালাই। স্বামী কোনো বাড়ি-ঘর নেই। শহরের মৌড়াইল কলেজপাড়ায় ভাড়া থাকি। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিতে হয়। এ দিকে
শান্তিতে ফুটপাতে লেবু বিক্রি করতে পারি না। পুলিশ মাঝে মধ্যে দোকান তুলে দেয়। তিনি বলেন, শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের জায়গা নেই, ঘর নেই, তাদেরকে জায়গা ও ঘর দিচ্ছে। এই কথা শুনার পর একটি সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছি।
জানিনা পাব কিনা। তিনি বলেন, তাঁর ৪ ছেলে ৪ মেয়ের মধ্যে বড় দুই ছেলে বিয়ে করে শহরের কাজীপাড়ায় আলাদা সংসার করছেন। দুই মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন।
বর্তমানে তার সাথে দুই ছেলে, দুই মেয়ে থাকে। বর্তমানে তিনি লেবু বিক্রি করে প্রতিদিন ৫/৬শত টাকা রোজগার করেন। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে
যাওয়ায় বর্তমানে এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে তার কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন বলেন, শাহানা বেগমের খোজঁখবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগীতা করা হবে। যদি ওনার কোনো জায়গা জমি না থাকে তাহলে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্প জায়গায় ওনাকে একটি ঘর দেওয়া ব্যবস্থা করে দেব।