লোহাগাড়া ৯টি ইউপি নির্বাচন; দলীয় প্রার্থী অনেক পুটিভিলা ও পদুয়া নির্বাচনে এবার নতুন মুখ

শান্তনু হাসান খান (বিশেষ প্রতিনিধি)।।

চট্রগ্রামের ৬টি উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নের মধ্যে লোহাগাড়া ৯টি ইউনিয়নে মাঝে ৩টি নির্বাচন ইতি মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকী ৬টি ইউপি নির্বাচন তফসিল হবে আগামী মাসে। আর তখন সম্ভাব্য প্রার্থীরা একটু নড়ে চড়ে বসবেন। এদিকে দক্ষিণ চট্রগ্রামের বাশঁখালী, পটিয়া,আনোয়ারা, চন্দনাইশ,সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার অনেক ইউপি নির্বাচনে ২০১৬ তে আওয়ামীলীগের অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। এবার হয়তো তা হবে না। কেননা এবার পুবাতনদের সাথে নতুন প্রার্থী যোগ হচ্ছে। আর সে আলোকে এবার পুদায়ার বর্তমান চেয়ারম্যান মো: জহির উদ্দিন নির্বাচনে থাকবেন। আরও প্রার্থীতা চাইবেন আফসার আহমেদ ও মিয়া ফারুক। অপর দিকে পুটিভিলা চেয়ারম্যান হাজী মো: ইউনুস এবার নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন। এখানে নতুন মুখ সবার জনপ্রিয় এবং উচ্চ শিক্ষিত জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক আগামী নির্বাচনে থাকছেন। তিনি দল থেকে প্রার্থীতা চাইবেন এবার। তার পাশাপাশি দিদারুল আলম, এরশাদুল হক চৌধুরী, ফরহাদ বিন হানিফ ও তাপস জোতি ভিক্ষু দল থেকে নমিনেশন চাইবেন।

পদুয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান মো: জহির উদ্দিন। ২০১৬ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৪ হাজার ৬শত ৫০ভোটে নির্বাচিত হন। জহির পদুয়ার ১নং ওয়ার্ডেও ভোটার। পড়াশুনা করেছেন এ সি এম স্কুলে। পরে বারআওলীয়া ডিগ্রী কলেজে। আর তখন থেকে আওয়ামী ঘরণার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রার্থিতা চাইবেন। তবে সাধারন মানুষদের মনোভাবটা বদলে গেছে। বিগত দিনে যত কাজ করেছেন তার সবটাই ছিলো সরকারী রুটিন ওয়ার্ক এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। দৃশ্যমান যত উন্নয়ন- তার পুরোটাই দাবীদার মাননীয় সাংসদ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ। পদুয়ার জনগণ এবার পছন্দের তালিকায় রেখেছেন-জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিনকে। অনেক গুলো পজেটিভ বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে লোহাগাড়ার ৬টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিরবে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলের সিনিয়র নেতা ও নীতি নির্ধারকদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন নিরবে। তবে শেষ অব্দি কার ভাগ্যে নৌকার টিকেট জুটবে- সেটা সময়ের ব্যাপার।

উল্লেখ্য যে, লোহাগাড়ার ৯টি ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন পুটিভিলা। ০২ নং ওয়ার্ডের ভোটার জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক। উচ্চশিক্ষিত এ প্রার্থী বলেন, আমার অতীতের পলিটিকেল ক্যারিয়ার ও এলাকার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি সিলেকশান কমিটি তথা জননেত্রী শেখ হাসিনা ইনশাল্লাহ আমাকে দল থেকে নমিনেটেড করবেন বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস আর সেই বিশ্বাস উপর ভর করে আমি নির্বাচনের মাঠকে গুছিয়ে রেখেছি।

৪৬ বছরের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আর্দশ নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। তিনি বলেন আগামীতে পূনরায় নির্বাচিত হলে আমার ইউনিয়নকে অত্যাধুনিক মডেল ডিজিটাইলস্ট ইউপি জনগণকে উপহার দিবো।

অপর এক নতুন প্রার্থী পুটিভিলার জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আর উপজেলার যুবলীগের সক্রিয় সদস্য। তার বাবা মরহুম ডা: ছিদ্দিক আহমেদ তিনিও আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পড়াশুনা করেছেন পুটিভিলা হাই স্কুল ও সাতকানিয়া ডিগ্রী কলেজে। এর পর চট্রগ্রাম সিটি কলেজ ও চট্রগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে মাষ্টার্স শেষ করেন। মানিক বলেন এবার দল থেকে নমীনেটেড হওয়ার পর- যদি জনগণ তাদের নিজ নিজ ভোট সুষ্ঠভাবে প্রয়োগ করতে পারে- তাহলে ইনশাল্লাহ আমি কামিয়াব হবো। আর তখনি আমার পুটিভিলা ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাবো। এখানে নারী শিক্ষাসহ গ্রামীন অবকাঠামোতে গড়ে উঠা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাকে আরও বেগবান করবো। উল্লেখ করা যেতে পারে – লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা সাংসদ সদস্য ড. নাদভী।

তার দিকনির্দেশনায় এলাকায় সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন বর্তমান চেয়ারম্যানগণ। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য পুদয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছেন বলে আমাদের জানান। তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী-বিপ্লব বড়–য়া মানিক ও চেয়ারম্যানদের আগামী নির্বাচন সম্পর্কে পজিটিব ধারণা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান জহির বলেন নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমান সাংসদের দিক নির্দেশনায় আগামী দিনগুলোতে জননেত্রী শেখ হাসিনার আমার গ্রাম-আমার শহর প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করে যাবো সবাইকে সমন্বয় করে।

এদিকে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ইতি মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছেন। মার্চ থেকে শুরু করে জুন মাসের শেষ নাগাদ ধারাবাহিক ভাবে গত বারের মত ৫ ধাপে নির্বাচন শেষ করতে চান স্থানীয় মাঠ প্রশাসন। দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান। ২০১৬ সালে ২২ শে মার্চ শুরু হয়ে ৪ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করে সরকার। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে পরবর্তী পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আর সেই আলোকে দক্ষিণ চট্রগ্রামের ৬টি উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই চট্রগ্রাম মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন সি.ই.সি।

আরো দেখুনঃ