শুষ্ক মৌসুমেই আগ্রাসী যমুনা, ভাঙছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি
অনলাইন ডেস্ক।।
ভাঙনরোধে নেয়া প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে আবারও আগ্রাসী যমুনা। ভাঙছে প্রকল্পের আওতাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম ও আড়কান্দি গ্রামের দেড় কিলোমিটার এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণ এগুচ্ছে ধীরগতিতে। এক যুগ ধরে নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত এনায়েতপুর থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী মোনাকষা পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা। যমুনার ডান তীরের এই ভাঙন ঠেকাতে গত বছর ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়। প্রথম দফায় বালুভরে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও খুব একটা কাজে আসেনি।
এবার শুষ্ক মৌসুমেই শুরু হয়েছে ভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ৪০টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। ভাঙনের মুখে আরও কয়েকশ’ স্থাপনা। স্থানীয়রা জানান, কিছু বস্তা এনে শো করে, বলে ফালাব ফালাব। বাস্তুভিটা হারিয়ে নিঃস্ব অনেকে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র। দ্রুত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার দাবি তাদের। ভাঙনকবলিত মানুষরা জানান, যে প্রজেক্ট সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঠিকাদার কাজই করেনা। ভাঙনে এনায়েতপুর বাজার প্রায় শেষের দিকে। ছয় হাজার বস্তা ভরে রেখেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ফালানো হচ্ছে না। ঠিকাদার বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সই দেয়না। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “বস্তা ফেলতে হয় নৌকা দিয়ে। ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা নাকি লেবার পাচ্ছেনা।”
তাঁত শিল্পসমৃদ্ধ এনায়েতপুর কাপড়ের হাট, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।
ফরহাদ/অননিউজ