সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

কুমিল্লা প্রতিনিধি ।।

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। একটি মহল বর্তমান সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে থেকে দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আহবান করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার (২৬মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ) সকাল ১১টায় কুমিল্লা নগরীর গর্জনখোলায় দৈনিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকার মিলনায়তনে ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ ,কুমিল্লা আয়োজিত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,আজ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ একটি স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি। তাদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পারছি বলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আপনাদের সকলের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবেন। যাতে এই ইতিহাস নষ্ট হয়ে না যায়।

এই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন,কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি,কবি ও ছড়াকার বীরমুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন চিশতী। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার উপদেষ্টা ও দৈনিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এর পর মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নীরবতা শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার খাইরুল আহসান মানিক, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক শাহাজাদা এমরান,সময় টিভির কুমিল্লা স্টাফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহার রায়হান, দৈনিক কুমিল্লার আলোর পত্রিকার সম্পাদক জসিম উদ্দিন কনক, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ও প্রকাশক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, দৈনিক সমাজ কন্ঠ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চাষী,সাপ্তাহিক সমতটের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক জামাল উদ্দিন দামাল, সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি সৈয়দ আহসান হাবিব পাখি, নবাব ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ সরকার লিটন, সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি বাবর হোসেন, অর্থ সম্পাদক জুয়েল রানা মজুমদার, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল বাশার খান,সদস্য সাংবাদিক মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার এবং কবিতা পাঠ করেন কবি রোকসানা সুখি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ ,কুমিল্লা র সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রূপসী বাংলা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার মনির হোসেন। অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকের জীবন পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন,সাংবাদিক কামরুজ্জামান,দৈনিক ডাক প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নরুল ইসলাম, চ্যালেন এস কুমিল্লার প্রতিনিধি রাজিব সাহা,দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কুমিল্লার প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক পূর্বাশা র প্রতিনিধি বিএম মহিউদ্দিন মন্টি,দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি নারায়ন কুন্ড,দৈনিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হাসান,সমতটের কাগজ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার রিপোর্টার ওমর কাইযূম পলাম,সিটিভি নিউজের সহকারী সম্পাদক সাংবাদিক ওমর শারিধ বিধান এবং নিউজ ২৪ এর ক্যামেরা পারসন মোতালেব হোসেন। এদিকে অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন সাংবাদিক মোঃআবদুল আউয়াল সরকার। অনুষ্ঠানে দুই বীরমুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল এবং সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন চিশতীকে ফুলের মালা পরিয়েদেন রাজিব সাহা,বাবর হোসেন,রবিউল বাশার খান,সাংবাদিক কামরুজ্জামান ও সাংবাদিক নুরুল ইসলাম এবং দুই বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলেদেন সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস, সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন ও সাংবাদিক নেকবর হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন,মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন বাঙালি জাতির সূর্যসন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি আমাদের লাল সবুজের পতাকা আর বিশ্বের বুকে এক গর্বিত মানচিত্র। ‘মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটি আমাদের কাছে অনেক বড় মাহাত্ম্যময়। মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি শুনলেই শ্রদ্ধায় নত হয়ে ওঠে হৃদয়। একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও যদি আমরা অপমান করি তবে তা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সেই সঙ্গে এ কথাটিও দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে, আমাদের সমাজে যদি একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাও বর্তমান থাকে, আর তারা যদি একজন মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দাবি করে তবে সেটা হবে আমাদের দেশ ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা— সব শহীদের সঙ্গে প্রতারণা। সুতরাং আমাদের সমাজে কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারবে না! তারা দণ্ডনীয় অপরাধে অপরাধী। ভুয়া ডিবি,চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার,ম্যাজিস্ট্রেট সবার বিচারের আওতায় আনা হয়,তবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদেরও বিচারের আওতায় আনা হউক। আর তাই এবারের দাবি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার।

শান্ত/অননিউজ

আরো দেখুনঃ