সাবেক মেম্বারের হয়রানি শিকার সেবাগ্রহীতারা
কুমিল্লা প্রতিনিধি |

ভানি। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন পরিষদ পড়েছে দেবিদ্বার উপজেলার সীমান্তে। পাশে চান্দিনা উপজেলার সীমান্ত।
ভানি ইউনিয়ন পরিষদ যেন হয়ে উঠেছে কয়েকজন অসাধু লোকের আয়েরস্থল। পরিষদে জন্ম নিবন্ধন, খাজনা-খতিয়ানসহ অন্যান্য কাজে টাকা দিতে হয় কয়েকজন নেতাকে।
তাদের মধ্যে আব্দুল আউয়াল একজন। তিনি ভানি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও এ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার। সম্প্রতি সরজমিনে ভানি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা ঘুরে তার এসব কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউনিয়নটির অন্তত ১৫ জন স্থানীয় বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত। একই সাথে তিনি জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার উপর হামলা ও হত্যা মামলার আসামি। তার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ৫ আগস্টের পর ভানি ইউনিয়ন পরিষদে আখড়া গেড়েছেন আব্দুল আউয়ালসহ তার অনুসারীরা। আউয়ালের বাড়িও ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে। এজন্য পরিষদ এলাকায় সব সময় ঘুরঘুর করেন একপ্রকার স্বাচ্ছন্দে। এখন সবার প্রশ্ন? সব সময় একজন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারের ইউনিয়ন পরিষদে কাজ কি?
ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি একটি জন্মনিবন্ধন করার জন্য পরিষদে গিয়েছিলাম। সেখানে সচিব ছিলনা। সচিব পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে গিয়েছে। তখন আমি বাহিরে দাড়িয়ে ছিলাম। একজন গ্রাম পুলিশ এসে বলে দ্রুত জন্মনিবন্ধন করতে চাইলে আউয়াল মেম্বারের কাছে জান। তিনি কোনো জামেলা ছাড়াই আপনার এই কাজ করে দিতে পারবে। আমি ওনার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমার কাছে ১০০০ টাকা চেয়েছেন।
আলী আকবর বলেন, পরিষদে গিয়েছিলাম একটা বিশেষ কাজে। কাজে দেরি হবে বলে একজন অচেনা লোক। তিনি আমাকে আউয়াল মেম্বারের সাথে কথা বলতে বলেন। আমি আউয়াল মেম্বারকে ফোন দিয়ে আমার সমস্যার কথা বলি। তিনি আমাকে বলেছেন কাজ করা যাবে টাকা বেশি লাগবে।
ভানি ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার ও গ্রাম পুলিশসহ কয়েকজন নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আমরা আউয়াল মেম্বারের হাতে জিম্মি। তিনি এই পরিষদকে তার বাড়িঘর মনে করেন। এ ভাবে চলতে থাকলে ভানি ইউনিয়ন পরিষদে জনগণ তার সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি কিছু করিনি এবং জানিনা। যারা এসব বলেছেন তারা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন আমার বিরুদ্ধে।
১২ নং ভানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. জালাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আমার এখন পর্যন্ত পাইনি।