‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’……….ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন
আবদুস সাত্তার, নড়াইল।।
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) বলেছেন, ‘দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজকে দেখেন আমাদের সম্পদের চেয়ে আমাদের বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। সেই ক্ষত পূরণ করা খুব কঠিন। আবার আপনি যদি মনে করেন নবীজিকে যদি আঘাত করে থাকে। সেটিও দেখেন যারা মুসলিম আছেন, তারা নিজের চেয়েও নবীজিকে ভালবাসে। কাজেই এই জায়গাগুলিতে আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
শনিবার বিকালে জেলা পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সকল অংশীজনদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চিত্রা, মধুমতি, নবগঙ্গা বিধৌত নড়াইল একটি অসাম্প্রদায়িক জেলা। এই জেলায় কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা, কটুক্তি, মন্তব্য করে তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আবেগের বশঃবর্তী হয়ে অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত হানলে তার জন্য দেশে প্রচলিত আইন আছে। আইন অবমাননাকারীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, আমাদের প্রিয় মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সকল ধর্মের প্রতি সম্মান দেওয়ার কথা বলে গেছেন। অপর ধর্মের প্রতি আঘাত হানা থেকে বিরত থাকার কথাও বলেছেন। দেশে সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। তাই প্রত্যেক ধর্মের প্রতি সকলের সম্মান করা উচিত। তিনি সম্প্রতি দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দ্রæতই বিচারের আওতায় আনা হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি নড়াইলে আর না ঘটে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ও লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য আরো রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন খান নিলু, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম হিলু, দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, লক্ষীপাশা কওমী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুন্ডু, শিক্ষক দিলীপ কুমার সাহা প্রমুখ।
এ সময় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ নজরুল ইসলাম, নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) প্রদীপ্ত রায় দীপন,সহ সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ইমাম, পুরোহিতসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষজন অংশ্রগ্রহন করেন।
পরে রাত ৭টার দিকে ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্থ দিঘলিয়ার সাহাপাড়ার হিন্দু বাড়ি,দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেন। এসময় সাহাপাড়ায় বাসিন্দারের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।