সোনাগাজীতে কিশোর তুহিন হত্যার ঘটনায় দু’আসামির স্বীকারোক্তি
জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী)
ফেনীর সোনাগাজীতে কাঁকড়া ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে সিএনজি অটোরিকশা চাপা দিয়ে আবদুর রহিম তুহিন (১৫) নামো এক কিশোরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আবুল খায়ের লিটন ও তুহিন খলিফা নামে দুই আসামি।
শুক্রবার ফেনীর জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা মুনার আদালতে হাজীর করা হলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আবু বক্কর ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৯ মে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের পূর্ব শাহাপুর গ্রামের নূরুজ্জামানের ছেলে মো. রোমেন কাঁকড়া ধরতে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় যান। সেখানে কাঁকড়া ধরা নিয়ে একই গ্রামের মো. মাসুদ, মো. সাহেদ ও মো. নাঈম রোমেনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। খবর পেয়ে রোমেনের পিতা নূরুজ্জামান ও ভাই নূরনবী রনি তাকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে তাদের তিনজনকে পিটিয়ে ফের আহত করেন। এ ঘটনার জেরে পরদিন ১০ মে সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ডেকে নিয়ে আসামি আবুল খায়ের লিটন, মো. মাসুদ, মো. সাহেদ, মো. নাঈম ও তুহিন খলিফা সহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪জন মিলে মুহুরী প্রজেক্ট সড়কে আবদুর রহিম তুহিন কে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে চাপা দিয়ে পৃষ্ঠে দেন। এতে তুহিন মাথায় গুরতর আঘাত পান এবং হাত-পা ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্নে পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ১১ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তুহিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহত তুহিনের ভাই নূরনবী রনি বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩-৪জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়ার বাজার এলাকা থেকে আবুল খায়ের লিটন ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম থেকে তুহিন খলিফাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে হাজীর করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।