সোনাগাজীতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সহকর্মীদের কাঁদিয়ে অবসরে গেলেন নারী প্রধান শিক্ষক
জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিথি,

ফেনীর সোনাগাজীতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের কাঁদিয়ে চাকরি থেকে অবসরে গেলেন নাজমা আক্তার নামে এক নারী প্রধান শিক্ষক। তিনি নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী। তিনি সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মনগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার প্রিয় কর্মস্থলে বুধবার ছিল শেষ কর্ম দিবস। একই দিন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে দেওয়া হয় রাজসিক বিদায় সংবর্ধনা। বিদ্যালয় মিলনায়তনে বুধবার বিকালে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ওয়াহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনাগাজী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম তাহেরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাক্তন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, সোনাগাজী উপজেলা ইউ আর সি ইনস্ট্রাক্টর হাজেরা খাতুন, উপজেলা বিএনপি নেতা, মনগাজী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সোনাগাজী উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি হাবিব উল্যাহ ও অভিভাবক সদস্য মামুন পাটোয়ারী। ফেনী জেলা স্কাউটস সম্পাদক বেলাল হোসেনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল পাটোয়ারী, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মাস্টার নিজাম উদ্দিন, সোনাগাজী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসাইন মামুন, সহকারী শিক্ষক শেখ শাহাদাত হোসেন ও সাবেক জেলা সভাপতি জিন্নাতুন নাহার কাজল প্রমুখ । তিনি শিক্ষার মানোন্নয়ন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলগামী করতে নিজ উদ্যোগে নানা উপহার সামগ্রী বিতরণ, নূরানী শিক্ষা কার্যক্রম চালু, প্রভাবশালীদের কাছ থেকে ভূমি উদ্ধার সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করায় সর্বমহলে প্রশংসিত ছিলেন। অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনায় স্মৃতিচারণ করে তিনি সহ উপস্থিত সবাই কাঁদলেন। পরবর্তীতে ফুলে শোভিত প্রাইভেটকারে করে তাকে বিদায় দেওয়া হয়। উল়েখ; ২০১৮ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দান করেন। ৩৮ বছর তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়েজিত ছিলেন।