সোনাগাজীতে শিশুকন্যা ধর্ষন মামলায় যুবদল নেতা গ্রেফতার

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি।।

ফেনীর সোনাগাজীতে আট বছরের স্বীয় শিশুকন্যা ধর্ষণ মামলায় যুবদল নেতা ইমাম হোসেন মেসকিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে বগুড়ার রাজবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন এব্যাপারে বুধবার সকাল ১১টায় ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।

গ্রেফতারকৃত ইমাম হোসেন মেসকিন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক। পুলিশ ও মেসকিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী জানায়, চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাভিকারী গ্রামের মৃত এনায়েত উল্যাহর ছেলে ইমাম হোসেন মেসকিনের সাথে ১৭ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত নুরুল হুদার কন্যা মনোয়রা সুলতানার বিয়ে হয়। তার ঘরে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে মনোয়ারা পিতার মমতাজ কমলার বাড়িতেই থাকতেন।

গত ২৭জানুয়ারি রাত দশটার দিকে তিনি রান্না ঘরে রুটি বানানোর সময় তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ইমাম মেসকিন। রান্নাঘর থেকে ফিরে বিছানার উপর শিশুকন্যাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন মনোয়ারা। এসময় তড়িঘড়ি করে মেসকিন পালিয়ে যায়।

পরদিন ২৮ জানুয়ারি মেসকিনের মামা, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে বিষয়টি অবগত করে মনোয়ারা মেসকিনের সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেন। ধর্ষণের বিষয়টি সমাধান না করে ৩০ জানুয়ারি আবুল কালাম আজাদের পরামর্শে দেনমোহরের ৭০হাজার টাকা পরিশোধ করে মনোয়ারাকে তালাক দেন মেসকিন। এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেন মেসকিন। ওই দুটি সংসারেও তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিশুর মা মনোয়ারা সুলতানা। একই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে মেসকিনের মামা চরদরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকেও আসামী করা হয়। সোনাগাজী মডেল থানার মামলা নং-০৩, তাং-০৩-০২-২০২২খ্রিস্টাব্দ।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভিক্টিম ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের আদালতে ২২ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, চরদরবেশ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তালাকের বিষয়টি স্বীকার করলেও তাকে শিশু ধর্ষণের বিষয় কিছুই জানানো হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি বাদিনীকে থানার আশ্রয় নিতে বলতেন। ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

আরো দেখুনঃ