সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনর, ভাঙ্গনের আশঙ্কায় আনন্দবাজার হাট ও কয়েকটি গ্রাম।
নজরুল ইসলাম শুভ ,সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অপরিকল্পিতভাবে এ বালু উত্তোলনের ফলে ২০০ বছরের পুরনো আনন্দবাজার হাট ও নুনেরটেক এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা। স্থানীয়দের মাঝে চাপাঁ ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জাসা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সরকারি জায়গা দখল করে বাশেঁর খুটি ও বেড়া দিয়ে মোটা পাইপের মাধ্যমে ফেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শ্রমিকরা ৯টি গাছ কেটে সারিবদ্ধ করে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই হাটের পাশে মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বাজারের মাঠ ও নুনেরটেক এলাকা নদী তীরে ধস নামবে। আনন্দবাজার হাট থেকে সরকারের প্রতি বছর ৭০/৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। বালু উত্তোলনের ফলে হাটের নদী তীরের অংশ বিলীন হলে কর্মহীন হবে হাটে কাজ করা শ্রমিকরা। তারা দাবী করেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজার হাট রক্ষার দাবী করেন।
আনন্দবাজার হাট কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা একত্রিত হয়ে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করছে। বাজারের সামনে থেকে বালু উত্তোলন করলে বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
হাটের সাবেক ইজারাদার আব্দুল বাসেদ বলেন, আনন্দবাজার হাট একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। এই হাটের সীমানায় কাটার ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করলে হাটটি বিলীন হয়ে যাবে। স্থানীয় শহিদুল্লাহ মেম্বারের ছেলে নজরুল ও প্যানেল চেয়ারম্যান নবী হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজগে মেঘনা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে সেই বালু বিক্রীর পায়তারা করতেছে।
এ বিষয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, বাজারের পরিধি বাড়ানোর জন্য বালু ভরাট করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ইব্রাহিম জানান, ঘটনাস্থলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।