সোনারগাঁয়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে হামলা, ভাংচুর, আহত-৫

নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)।।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে এ্যাপোলে নামের একটি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হামলাকারীরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ও তার স্ত্রী ও দারোয়ান সহ ৫ জন আহত হয়। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ময়না আক্তার বাদি হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত হেদায়েত উল্লাহ মুন্সির ছেলে সেলিমের সাথে সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর গ্রামের মো. কুদরত আলীর ছেলে ও এ্যাপোলে ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের মালিক মাসুম বিল্লাহের সঙ্গে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলে আসছে। এ দ্বন্দের জের ধরে গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সেলিমের নেতৃত্বে শান্ত, মামুনসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দারোয়ানকে মারধর করে ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে হামলা করে। এসময় একটি আলট্রাসনোগ্রাফি, একটি সিআর এক্্ররে মেশিনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এতে বাধা দেওয়ায় ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের মালিক মাসুম বিল্লাহ ও তার স্ত্রী ময়না আক্তারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মাসুম বিল্লাহ জানান, আমি সেলিমের কাছ থেকে টাকা নির্দিষ্ট সুদের বিনিময়ে টাকা ঋণ নিয়েছি। আমি টাকা আস্তে আস্তে পরিশোধ করেছি। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা মন্দ থাকায় আমি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ি। আমি তাদের কাছে সময় চাইতেই আমার হাসপাতালে এসে হামলা করে।
অভিযুক্ত সেলিম জানান, আমার কাছ থেকে সে ৩ লাখ টাকা নিয়ে টাকার ফেরত দিচ্ছে না। আমি হাসপাতালে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে কথাকাটাকাটি হয়।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো দেখুনঃ