হিলিতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও শীতে বিপাকে খেটে খাওয়া দিনমজুর

হিলি প্রতিনিধি।।

দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে কয়েকদিন শীত কিছুটা কমলেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হিমেল বাতাস নতুন করে শীতের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলেছে। সাথে দুদিন ধরে সুর্যের দেখা না মেলায় আরো বাড়তি শীত অনুভুত হচ্ছে।

শীতের কারনে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষজন। আজ রাত থেকে তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। রিক্সা চালক খালেদ হোসেন বলেন, গতদুদিন ধরে সুর্যের দেখা নেই এর সাথে প্রচন্ড বাতাস বইছে যার কারনে রিক্সা চালাতে বেশ ঠান্ডা লাগায় কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে দিনের বেলা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে রিক্সা চালানো যেতো এখন জ্যাকেট পড়ে রিক্সা চালালেও ঠান্ডা লাগছে, এরপরে এমন আবহাওয়ার কারনে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় আমাদের আয় রোজগার কমে গিয়েছে।

যার কারনে আমাদের একেতো শীতের কষ্ট সাথে আয় কমায় আরো বাড়তি কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। দিনমজুর রায়হান হোসেন বলেন, হিলিতে গতকয়েকদিন ধরে তুলনামুলক শীত একটু করে কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে হিমেল বাতাস বওয়া শুরু হয়েছে যার কারনে শীতের মাত্রা বেড়ে গেছে।

এর পরে গতকাল সারাদিন সুর্যের দেখা মিলেনি আজ সকাল থেকেও একই অবস্থা সুর্যের দেখা নেই। এতে করে গতকাল কোন কাজ পাইনি আজো এখন পর্যন্ত কোন জোগাড় করতে পারিনি বাধ্য হয়ে হয়তো আজো বাড়ি ফিরে যেতে হবে এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের মতো মানুষদের।

পথচারী ইব্রাহিম শেখ বলেন, গতকাল দুএক ফোটা বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। এর উপর আজ সকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে এতে করে শীতের মাত্রা যেমন বেড়েছে তেমনি বাড়ির বাহিরে বের হওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর দিনাজপুর এর ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যে দেশের দ্বিতীয় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। বাতাসের আদ্রতা ৯২শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫/৬ কিলোমিটার, বেলা বাড়ার সাথে সাথে এটি ঘন্টায় ৮/১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৫.২ মিলিমিটার, আজ রাত থেকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরো হ্রাস পেতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আয়েশা আক্তার/অননিউজ24

আরো দেখুনঃ