হিলিতে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে বন্দরের পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত
সালাহউদ্দিন বকুল, হিলি প্রতিনিধি।।
জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। হিলি স্থল বন্দরের আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও ধর্মঘটের কারনে বন্দরের পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে বন্দর অভ্যন্তরে পণ্যজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
রবিবার তৃতীয় দিনের মতো হিলি থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে প্রচুর পরিমানে সিএনজি ইজিবাইক ভ্যান রিক্সা চলাচল করছে যাতে করে যাত্রীরা বাড়তি ভাড়ায় গন্তব্যে পৌছানের চেষ্টা করছেন।তবে ধর্মঘটের সমর্থনে কাওকে সড়কে মিছিল বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।এদিকে সকাল থেকেই বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরে যথারীতি পণ্য নিতে বাংলা ট্রাক প্রবেশ করছে ও বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে চলে যাচ্ছে।
রেজাউল করিম নামের এক যাত্রী বলেন, আমার জয়পুরহাটে একটি বেসরকারী ফার্মে চাকুরির পরিক্ষা রয়েছে বাধ্য হয়ে আমাকে যেতেই হবে। কিন্তু তেলের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘট চলছে যার কারনে কোন বাস চলাচল করছেনা এতে করে চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছি। বাধ্য হয়ে অটোতে চড়ে যাচ্ছি আগে যেখানে বাসে ৩০টাকা লাগতো এখন সেখানে ৬০টাকা লাগছে। একেতো সময় বেশী লাগছে তারপরে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে এতে করে আমরা সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।
বাস চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, আগে এক টিপ মারতে যে টাকার তেল কিনতে লাগতো এখন সেখানে আড়াই থেকে ৩হাজার টাকা বেশী লাগছে। গাড়ির ক্যাশ হয়না ৩হাজার টাকা তো তেল কিনবো কোথা থেকে যার কারনে তেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। আর এই ধর্মঘট চলার কারনে আমরাও না খেয়ে না দায়ে পড়ে রয়েছি। আজকে বৈঠক রয়েছে সেই বৈঠকে যে সিন্ধান্ত হয় সে মোতাবেক ব্যবস্থা হবে। তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে যদি একটু ভাড়া বেড়ে দিতো তাহলে এই তিন দিন ধর্মঘট হতোনা মানুষকে কষ্ট করতে হতোনা।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সকাল থেকেই হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে সেই সাথে পণ্য নেওয়ার জন্য বাংলা ট্রাক প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাংলা ট্রাক প্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কম রয়েছে। যেখানে আগে ৩৫০ থেকে ৪শ ট্রাক বন্দরে পণ্য নেওয়ার জন্য প্রবেশ করতো সেখানে গতকাল ২৪০ট্রাক প্রবেশ করেছিল যা পণ্য নিয়ে চলে গেছে। বাংলা ট্রাক কম ঢোকার কারনে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্যজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আজকে এ পর্যন্ত বন্দরে ৫০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। বন্দরের ভেতরে লোডআনলোড কার্যক্রম চলছে, পণ্য লোডশেষে যথারীতি বাংলা ট্রাকগুলো বন্দর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।