হিলিতে হঠাৎ করেই উধাও ৫লিটারসহ বোতলজাত সয়াবিন তেল বিপাকে মানুষ
হিলি প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে ৫লিটারসহ বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাজারের দুএকটি দোকানে ১/২লিটারের তেলের বোতল পাওয়া গেলেও কোন দোকানেই মিলছেনা ৫লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল। বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের মুল্য বেশী হওয়ায় অনেক দোকানি বোতলজাত তেল খুলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তেল না পাওয়ায় ও বাড়তি দামের কারনে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি বাজারে তেল কিনতে আসা ইফতেহাদ সরকার বলেন, প্রতিমাসে ৫লিটার বোতলজাত তেল ক্রয় করি সেলক্ষ্যে তেল কিনতে বাজারে এসেছি কিন্তু কোন দোকানেই ৫লিটার তেলের বোতল নেই। দোকানীরা কি করছে এই ৫লিটারের বোতলজাত তেলগুলো খুলে তেলের ড্রামে রেখে খোলা তেল হিসেবে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। এতে করে লিটার প্রতি২০ থেকে ৩০টাকা করে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
অপর তেল কিনতে আসা নারী মাকছুদা আকতার বলেন, প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে তেলের দাম বাড়ছে, যে তেল কয়েকদিন আগে ১শ ৫০ থেকে ৬০টাকা ছিল সেই তেল এখন বর্তমানে ১শ ৮০টাকা দাড়িয়েছে। এতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে তেলের দাম যদি এভাবে প্রতিদিন বাড়ে তাহলে সাধারন মানুষ চলবে কিভাবে। আমাদের মতো মানুষ হয়তোবা কষ্ট করে তেল কিনে খেতে পারছে কিন্তু যারা গরীব নিন্ম আয়ের মানুষ তাদের তো অবস্থা আরো খারাপ এতোদামে তেল কিনে খেতে পারবেনা। এখনোই যে অবস্থা তেলের দাম নিয়ে শুরু হয়েছে তাতে করে সামনে রমজান সেসময় কি হবে তা জানিনা তেলের দামটা যদি কমে তাহলে সবার জন্য ভালো হয়।
বাজারে তেল কিনতে আসা ছানাউল ইসলাম নামের অপর ব্যাক্তি বলেন, বাজারে তেল কিনতে এসে দাম বেশী হওয়ায় বাধ্য হয়ে খালি তেলের বোতল নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে বউকে বলবো পানি দিয়ে আজ তরকারি পাক করো তাছাড়া আর কোন উপায় নেই। যে তেল কয়েকদিন আগে ১শ৭০ টাকা ছিল সেই তেল এখন ২শ টাকা ঠেকেছে। এত দাম দিয়ে তেল কিনবো না অন্য কিছু কিনবো বাড়ি থেকে যে হিসেব করে টাকা নিয়ে বাজারে আসি দাম বৃদ্ধির কারনে সেই হিসেব আর মিলছেনা।
হিলি বাজারের মুদিদোকানি ফেরদৌস আলম বলেন, বর্তমানে বোতলজাতে কোন তেল নেই তেলের যে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো রয়েছে তারা আগে আমাদের নিকট আসতো ওয়ার্ডার নিয়ে তেল ডেলিভারী করতো কিন্তু এখন আর তারা ওয়ার্ডার কার্টার জন্য আসছেনা। এখন তারা বলছে তেল নেই যার কারনে কোন ওয়ার্ডার নিচ্ছেনা বলছে যে পরে।অনেকেই বোতলজাত তেল ঢেলে খোলা হিসেবে বিক্রি করতেছে কিন্তু আমার কাছে বোতলজাত তেল নেই আর আমি বিক্রিও করিনি। বর্তমানে খোলা সোয়াবিন তেল বিক্রি করছি ১৮০টাকা কেজি হিসেবে। যা গতহাটে ১শ ৭৫টাকা বিক্রি করেছিলাম। তেল পাওয়া যাচ্ছেনা দাম বেশী আমরা যেমন দামে ক্রয় করছি তেমন দামে বিক্রি করছি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, যেহেতু তেলের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেহেতু ব্যবসায়ীদের তেলের মজুদ করা বা স্টক করার প্রবনতা ইতোপুর্বে ছিল। যার কারনে আমরা আমাদের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা নিয়মিতভাবে অব্যাহত রেখেছি।কোন ব্যবসায়ী যদি নির্ধারীত মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মুল্যে ভোজ্য তেল বিক্রি করেন অথবা তিনি মজুদ করেন সেবিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন হয় সেটি নেওয়া হবে। বাজারে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মুল্য মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।