হিলি সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর কতৃপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত

হিলি প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম গতীশিল করতে ও বন্দরের বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধান করতে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি রফতানিকারক সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর কতৃপক্ষের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আহবানে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে হিলি সীমান্তের ২৮৫নং মেইন পিলার সংলগ্ন চেকপোষ্ট গেটের শুন্যরেখার ১০গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতে হিলি এক্সপোটার্স এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল ও সাধারন সম্পাদক ধীরাজ অধিকারীর নেতৃত্বে আমদানি রফতানিকারক ও ট্রাক ওনার্স আ্যসোসিয়েশনের সদস্যসহ ১২সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করেন।

অপরদিকে বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশেনর সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন ও সাধারন সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত ও হিলি স্থলবন্দর ট্রাক মালিক গ্রপের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং হিলি স্থলবন্দরের ম্যানেজার অশিত স্যানাল ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে আমদানি রফতানিকারক সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দর কতৃপক্ষ মিলিয়ে ১২জন সদস্য অংশগ্রহন করেন। এর আগে ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সীমান্তের শুন্যরেখায় আসলে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়।বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী তাদের এই বৈঠক চলে, এরপরে একইপথ দিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি দল পুনরায় ভারতে চলে যান।

বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশেনর সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন বলেন, সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা অনেক ট্রাকের হিলি স্থলবন্দরের কাটায় পণ্যের ওজন নির্ধারীত পরিমানের চেয়ে কম হচ্ছিল। যা ভারতীয় ট্রাক চালকরা মানছিলেননা যার কারনে তারা একদিন আন্দোলন করছিলেন যার কারনে বন্দর দিয়ে বেশ কয়েকঘন্টা আমদানি রফতানি বন্ধ ছিল।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আহবানে এবিষয়টি নিয়ে আমরা আজকে বৈঠক করেছি বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়ে দুদেশের আমদানি রফতানিকারক সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দর কতৃপক্ষের সাথে বিষদ আলোচনা করা হয়েছে। সামনের দিনে পণ্যের ওজন নিয়ে কোন ঝামেলা না হয়, সেই সাথে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো দ্রুত খালাস করার ব্যবস্থা গ্রহনসহ উভয় পাড়ে বিরাজমান সমস্যাগুলো নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করে বন্দরের আমদানি রফতানি বানিজ্য বাড়াতে সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।

আরো দেখুনঃ