হিলি স্থলবন্দরে মাংকিপক্সের সংক্রামন রোধে সতর্কতা জারী বসেছে মেডিকেল টিম

হিলি প্রতিনিধি

মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেই এবার নতুন আতংক হয়ে সামনে এসেছে মাংকিপক্স। ইতোমধ্যেই বিশ্বের ১৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়া মাংকিপক্স নামের এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতামুলক ব্যবস্থা। ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাবার পর সোমবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্থাপিত মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টে যাতায়াতকারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারদের এর আওতায় না আনায় তাদের কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এছাড়া করোনার সংক্রামন রোধে পুর্বে যে চালকদের মাস্ক পড়া হ্যান্ড গেøাবস পড়া ও স্যানিটাইজড করা হলেও এখন আর সেগুলো করা হচ্ছেনা। এর ফলে অতি সংক্রামক এই মাংকিপক্স নামের নতুন রোগ দেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের নির্দেশনা পাবার পর গতকাল থেকে দেশের অন্যান্য বন্দরে সতকর্তামুলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও হিলি স্থলবন্দরে নির্দেশনা না আসায় গতকাল কোন সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ওসি মো.বদিউজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে মাংকিপক্স নামের নতুন রোগের আবির্ভাব হয়েছে এই সংক্রান্তে এখানে মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে। ইমিগ্রেশেন আগমন ও বহিগর্মনকৃত পাসপোর্ট যাত্রীদের জ্বরসহ অন্য কোন লক্ষন দেখলে তাকে আলাদাভাবে চেকআপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। করোনা ও মাংকিপক্সসহ যে কোন ধরনের রোগের সংক্রামন প্রতিরোধে যাত্রীদের নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম সম্পুর্ন করা হচ্ছে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস বলেন,নতুন ধরনের রোগ মাংকিপক্স নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা গুরুত্ব সহকারে নিয়ে হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে সেই মেডিকেল টিমটি কাজ শুরু করেছে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বেশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি মেডিকেল টিমের একজন স্বাস্থ্য সহকারি ইমিগ্রেশনে স্থাপিত বুথে সার্বক্ষনিক সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। এই পথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন পাসপোর্টযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনো যাত্রীর শরীরে কোন ফুসকনি বা এই রোগের কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তাকে দ্রæত শনাক্তের মাধ্যমে হাসপাতালে ১৪দিনের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তার নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠিয়ে নিশ্চিত হবো সেটি মাংকিপক্স কিনা। তবে যেহেতেু এশিয়াতে এই রোগের কোন কেস শনাক্ত হয়নি সুতরাং বিমানবন্দরগুলো যতটা শতর্ক থাকবে সে হিসেবে আমরা মনে করছিনা যে এখনি এতটা আতংকিত হওয়ার কিছু আছে। তবে আমরা সার্বক্ষনিক এর উপর সজাগ দৃষ্টি রাখবো।

আরো দেখুনঃ