২মাস পর আবারো পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
হিলি প্রতিনিধি
হঠাৎ করেই দেশের বাজারে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল দেশীয় পেয়াজের বাজার এমন অবস্থায় কুরবানীর ঈদে দেশে পেয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকগন কয়েকহাজার টন পেয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা ইতোমধ্যেই পেয়াজের এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছেন আগামীকাল থেকে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক সততা বানিজ্যালয় এর সত্বাধিকারী বাবলুর রহমান বলেন, সরকার পেয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) না দেওয়ার কারনে গত ৫ মে থেকে হিলি সহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি দেশীয় পেয়াজের দাম বাড়ায় দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে ও কুরবানীর ঈদে পেয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয়কে পত্র দিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর।
এর ফলে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে পারে এই আশায় পেয়াজ আমদানির অনুমতি ইমপোর্ট পারমিট (আইপি)চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আমার মতো হিলি স্থলবন্দরের অনেক আমদানিকারক আইপির জন্য আবেদন করেছিলেন। সোমবার বিকেলে আমি ১হাজার টন পেয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি পেয়েছি।আমার মতো হিলি স্থলবন্দরের আরো অনেক আমসদানিকারক পেয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই আমি পেয়াজের এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি আজ অথবা কাল সকালের মধ্যে এলসি খুলে ফেলবো। এতে করে আগামীকাল বিকেল থেকে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।এতে করে দেশের বাজারে পেয়াজের দামের যে অস্থিতিশীল অবস্থা রয়েছে সেটি স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে পেয়াজের দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত ৫ মে থেকে পেয়াজের আইপি ইস্যু বন্ধ করে রেখেছিল মন্ত্রনালয়। এর ফলে ওই দিন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি সম্পুর্নরুপে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেয়াজের বাজার বাড়তে শুরু করলে আসন্ন কুরবানীর ঈদে পেয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ নতুন করে আবারো পেয়াজের আইপি প্রদান শুরু করেছে মন্ত্রনালয়।
পেয়াজের আইপি উন্মুক্ত করে দিয়েছে যার কারনে ইতোমধ্যেই হিলি স্থলবন্দরের অনেক আমদানিকারক আইপি পেয়েছেন। বর্তমানে যে তথ্য পেয়েছি এতে করে হিলি স্থলবন্দরের ১২জন আমদানিকারক ১২হাজার টন পেয়াজ আমদানির অনুমতি ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) পেয়েছেন। তাতে করে অচিরেই আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।