কিশোরগ্যাং থেকে বাঁচতে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দুই গ্রামের মানুষ
দেবীদ্বার প্রতিনিধি।।
ইমেইলে. প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী এর ছবি আছে। কিশোরগ্যাং থেকে বাঁচতে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দুই গ্রামের মানুষ। কুমিল্লা দেবীদ্বারের দক্ষিণ-পশ্চিমে অংশের ত্রাশ সালাহউদ্দিন বাহিনী ও তার কিশোর গ্যাং এর নির্যাতন, হামলা-মামলা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মরিচা- বেতরা গ্রামের সাধারন মানুষসহ এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে উপজেলার মরিচা সায়েদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কয়েকশত নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা জানায়, গত ৪ এপ্রিল রাজামেহার ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বাপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৌসুমী ভৌমিক এর উপস্থিতিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরন কালে সালাহ উদ্দিন, আবু বকর ও ইউপি মেম্বার ইয়াছমিন আক্তার এসে সার ও বীজ বিতরনে বাঁধা দেন। তারা তাদের মতো করে ওইসব বিতরন করার দাবী জানায়। এ নিয়ে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে কৃষি সামগ্রী বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর সালাহউদ্দিন ও ইউপি মেম্বার ইয়াছমিন আক্তার’র উদ্যোগে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৌসুমী ভৌমিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
৪ এপ্রিল তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে এলে সালাউদ্দিন মোখলেসুর রহমানকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিতে বললে স্বাক্ষ্য না দেয়ায় তাকে মার ধর করে। সন্ধ্যায় ইফতারের পর নাওতলার সন্ত্রাসী টেগরা আশ্রাফুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মোখলেসুর রহমানের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর, মোখলেসুর রহমান, এনামুল হক সুমন, ও জাকিরসহ ৩ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান ও তার ভাই এনামুল হক সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় মোখলেসুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে সালাউদ্দিনের সমর্থক ইব্রাহীম বাদী হয়ে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ১৫জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে মূল ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুই গ্রামের অধিবাসীকে গ্রাম ছাড়া করে রেখেছে। সালাহউদ্দিন বাহিনী দিন-রাত এলাকায় টহল দিয়ে সাধারন মানুষকে নানা হুমকী দিয়ে আসছে। তার বাহিনীর অত্যাচারে রমজান মাসে দুই গ্রামের মানুষ ঠিকভাবে বাড়িতে বসে ইফতার করতে পারে না, তারাবীহ পড়তে পারে না, সেহরী খেতে পারে না। সে পুরু এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। আমরা এলাকাবাসী প্রসাশনের সহায়তায় তার ত্রাসের রাজত্ব থেকে মুক্তি চাই।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. জসীম উদ্দিন, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি ও বেতরা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মফিজুল ইসলাম সরকার, সন্ত্রাসী হামলায় আহত সুমন মিয়া, জালাল আহমেদ, সাবেক ইউপি মেম্বার সাফিয়া বেগম, হোসনেয়ারা বেগম, পিয়ারা বেগম, নাছিমা বেগম প্রমূখ।
শান্ত/অননিউজ