কুমিল্লায় প্রেমিক হত্যার ঘটনায় শোকে বাবার মৃত্যু, আটক-২

সাইফুল ইসলাম।।

কুমিল্লায় প্রেমিকার পরিবারের পিটুনিতে প্রেমিকের মৃত্যু ও ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা রুজুর ৪ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অভিযানে প্রেমিকার বাবা ও চাচা গ্রেফতার করা হয়েছে ।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব ১১ সিপিসি-২ এর উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

র‌্যাব জানায়, গতকাল সাংবাদিকদের সাথে ছেলের মৃত্যু সংবাদের বিষয়ে কথা বলার সময় কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামের বাসিন্দা হিরন মিয়া হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় ভিকটিম মাহিনের মা রুজিনা বেগম গতকাল রাতে বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

পরে গায়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলা রুজুর ৪ ঘন্টার মধ্যে গতকাল রাতে জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা থেকে মামলার ১ নং এজাহারনামীয় আসামী মধ্যম মাঝিগাছার রওশন মিয়া ওরফে মুজা মিয়া ও ২ নং এজাহারনামীয় আসামী জাহাঙ্গীর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব আরোও জানায়, মেয়ের বাবা ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ে তন্বীর সাথে নিহত ভিকটিম মাহিনের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। এরই প্রেক্ষিতে মেয়ের বাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে ভিকটিম মাহিনকে বার বার তাগাদা দিলেও ভিকটিম মাহিন তার প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। তাই আসামীদ্বয় ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম মাহিনকে অমানুষিক নির্যাতন করে মর্মে দায় স্বীকার করে।

এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা ধরে নিয়ে পিটুনি দেয় মাহিনকে। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, আজ চিকিৎসক তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে, তাকে বাড়িতে পাঠানো হলে মাহিন মৃত্যু বরণ করেন। বাড়িতে ছেলের লাশ দেখে মাহিনের বাবা হিরণ মিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেয়ার সময় মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

মাহিনের প্রেমিকা জানায়, আদালতে আমরা বিয়ে করেছি। আমার পরিবার বিষয়টি মানতে রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে তারা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এলাকাবাসী জানায়, বিষয়টি এলাকার সবাই জানতো। কয়েকবার বিচারও হয়েছিলো। ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। যার ফলে এই ঘটনাটি হয়েছে।

আরো দেখুনঃ