‘ট্রেডমার্ক’ গোলে রেকর্ডবুকে মেসি

একটু ফিরে যাওয়া যাক ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে। জার্মানির বিপক্ষে সেই ম্যাচে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে দলকে সমতায় ফেরানোর দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ফ্রি কিক থেকে নেয়া সেই শটটি গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। ফলাফল বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও সেটি হাতছাড়া হওয়া।

সেই শিক্ষা থেকেই নিজেকে বদলানোর মিশনে নামেন তারকা এই ফুটবলার। শানিয়ে নিতে নিতে রীতিমতো নিজেকে পরিণত করেন ডেড বল আর ফ্রি কিক স্পেশালিস্ট হিসেবে। ধীরে ধীরে এই ফ্রি কিক থেকে করা গোলই হয়ে ওঠে তার ট্রেডমার্ক।

সেই ট্রেডমার্ক গোলেই শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ইকুয়েডরকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচেই ১-০ গোলে জয় পেয়েছে আলবেসেলেস্তিয়ানরা।

স্পটকিক থেকে করা দুর্দান্ত সেই গোলের মাধ্যমে রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলেছেন ক্ষুদে এই জাদুকর। স্পট কিক থেকে নেয়া সর্বোচ্চ ফুটবলারের তালিকায় চারে উঠে এলেন বিশ্বকাপজয়ী এই দলপতি।

স্পটকিক থেকে করা এটি মেসির ৬৫ তম গোল। আর সেই সুবাদে ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে ফ্রি কিক থেকে নেয়া সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় যৌথভাবে চারে অবস্থান নিশ্চিত করলেন তিনি।

ফ্রি কিক থেকে করা সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় প্রথম তিন জনই ব্রাজিলিয়ান। ৭৭টি ফ্রি কিক গোল করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জুনিনহো। ৭০ গোল নিয়ে দুইয়ে আছেন প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে।

তালিকার তিনে রয়েছেন মেসির বার্সা সতীর্থ রোনালদিনহো। সাবেক এই তারকার স্পটকিক থেকে নেয়া গোলের সংখ্যা ৬৬। যদিও তৃতীয় অবস্থানে রোনালদিনহোর সঙ্গে যৌথভাবে অবস্থান করছেন একজন আর্জেন্টাইনও। তিনি হলেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার ভিক্টর লেগ্রোটাগ্লিয়ে।

এদিকে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ফ্রি কিকে গোল করে মেসি গড়েছেন আরও একটি কীর্তি। এই গোলটির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ল্যাটিন আমেরিকার বাছাইপর্বে কোনো ফুটবলার গোলের দেখা পেলেন ফ্রি কিক থেকে। এর আগে সবশেষ ২০০৭ সালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন কলম্বিয়ার রুবেন দারিও বাস্তোস।

একইসঙ্গে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোল করায় ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে যৌথভাবে নিজের নাম লিখিয়েছেন ক্ষুদে এই জাদুকর।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ