দেবীদ্বারে বিষ প্রয়োগে গরু ও মাছ মারার বিচারের দাবি

দেবীদ্বার (কুমিল্লা)প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে পূর্বশত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগে খামারের গরু ও মাছ মেরে ফেলা, পুকুরের বাঁধ কেটে মাছ খালে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে খামারের মালিক, কর্মচারী ও স্থানীয় কয়েক’শ গ্রামবাসী। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্থ মমিন উদ্দিন ভূইয়া। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বক্রিকান্দি গ্রামের ওই খামারের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খামারি মমিন উদ্দিন ভূঁইয়া, মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, আল আমিন ভূঁইয়া, সাজেদা বেগম সাজু, মো. নাঈমুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও এমরান মুন্সি।

বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্থ খামারি মমিন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় কাউছার সরকার, রাসেল, মনিরুল ইসলাম, আনাছ সরকার, সফিউল্লাহসহ ৮/৯ জন আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার ১ঘন্টা পরই আমার গরুর খামারের ঘাসে বিষ মিশিয়ে ১টি গরু মেরে ফেলেছে। বিষ মেশানো ঘাস খেয়ে আরও চারটি গরু গুরুতর অসুস্থ, যেকোন সময় ওই গুরুগুলাও মারা যেতে পারে। তাঁরা আমার ফিসারীর বাঁধ কেটে দেওয়ায় পাশের খালে আমার কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনার দুই দিন পার হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমি আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। এখানে গ্রামবাসী উপস্থিত আছে, গরুর খামার ও ফিসারীতে এ গ্রামের ২০/২৫ টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এর আয় দিয়ে আমি গ্রামের অন্তত ৪/৫ জনকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। অসহায় মেয়েদের বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে সাহায্য করে সমাজকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করছি। তাঁরা আমার এ চেষ্টা থামিয়ে দেওয়ার জন্য নানা চক্রান্ত করে আমার ১০/১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করছে।

মানববন্ধনে গ্রামবাসীরা গরু ও মাছ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রব মাস্টার, সফিউল্লাহ ভুইয়া, মামুনুর রশিদ, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

অভিযুক্ত কাউছার সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মমিন ভূঁইয়াদের মানববন্ধনটি উদ্দেশ্যমূলক। আমি কখনোই তাদের খামারের ক্ষতি করিনি। ওই খামারে ১৫/২০টি গরু আছে অথচ মারা গেলো মাত্র একটি গরু, এতেই প্রমাণ হয় বিষয়টি শত্রæতামূলক এবং সাজানো।

দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা বলেন, খবর শুনে আমি খামারের মালিকের সাথে কথা বলেছি। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা এ কাজ করেছে আমি থানার অফিসার ইনচার্জকে বলেছি এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নিতে।

এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ মমিন উদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো দেখুনঃ