বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে মেহেরপুর
এবছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে মেহেরপুরে। হাড়কাঁপানো শীতের সঙ্গে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতে শুধু জনজীবন নয়, জবুথবু হয়ে পড়েছে প্রাণীকূলও।
মঙ্গলাবর সকাল ছয়টায় তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ।
এদিকে তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ খুলনা ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিন জানিয়েছেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমও ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে।
কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ। ছিন্নমূল মানুষের মাঝে নেমে এসেছে হাহাকার। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন তারা।
এদিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন সংগঠন কমবেশি শীত বস্ত্র বিতরণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
দেশের পশ্চিমে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলায় জেঁকেবসা শীতের পাশাপাশি কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি দুইদিন যাবৎ। ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দূরপাল্লার বাস ট্রাকসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও রাতে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
তবে হাড়কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবুও পেটের তাগিদে কাউকে রিকশা, ভ্যান বা ক্ষেত খামারে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না।
সদর উপজলোর রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড শীতে কাজ করা খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে গেছে। আর কাজ না করলে খাওয়া জুটবে না। তাই বাধ্য হয়ে জমিতে কাজ করছি।
শিবপুর গ্রামের রিক্সাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, উত্তরের হীমেল হাওয়ায় ভ্যান চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। তবুও পেটের তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি।
নসিমন চালক কেতাব আলী বলেন, বাজারে সবজি নিয়ে এসেছি। বিক্রি হলেই চলে যাব, আজ আর ঘর থেকে বের হবো না।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম, হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে যেসব শীত বস্ত্র এসেছে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে আবারও বিতরণ করা হবে।
তবে কয়েকটি ব্যাংক ও বেসরকারি সংস্থা ছাড়া এবছর ব্যক্তি বা সামাজিক উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে তেমন একটা দেখা যায়নি।