সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনকে প্রধান আসামি করি আমিনপুর থানায় হত্যা মামলা

পাবনা প্রতিনিধি।।

পাবনার সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে কুরবানীর ঈদের আগে ধানের খের শুকানো কে কেন্দ্র করে এলাকার দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়, পরে বিষয়টি নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান,আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব পরাজিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিনের কর্মী সমর্থকদের মাঝে রাজনৈতিক গ্রুপের সৃষ্টি হয়। ২১ জুন শুক্রবার রানীনগর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আলামিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন কর্মী নিহত হয়। এঘটনায় জের ধরে ঔ দিন রাতে এলাকায় শাহিন গ্রুপের লোকজন সাতটি বাড়িতে আগুন অর্ধ শতাধিক বাড়িতে হামলা ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটায় । বেশকিছু বাড়িতে নারীদের বর্বরচিত চলে কৌশিক নির্যাতন।

নবনির্বাচিত আব্দুল ওহাব গ্রুপের সমর্থক
মোজাহার বিশ্বাস পালিয়ে পাশের গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে রাত কাটান। পরের দিন দুপুরে কাশিনাথপুর যাবার পথে শাহিন গ্রুপের কয়েকজন ধরে গুরুতর আহত করে । পরে পুলিশ এসে মুজাহার বিশ্বাসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থান অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন । ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গেল বৃহস্পতিবার ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মোজাহার বিশ্বাস সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীনগর এলাকার মৃত আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

এবিষয়ে নিহত মোজাহার বিশ্বাসের ছোট ভাই (গতকাল ৩০-০৬-২০২৪ ইংরেজি শনিবার) জামাল বিশ্বাস বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন কে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন, মামলা নম্বর -২৭জি,আর ১২২/২৪,আমিনপুর থানা।

এদিকে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোন আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আমি উভয় হত্যার বিচার চাই। আর যেন কোন মায়ের বুক খালি না হয়, সন্তানরা যেন তাদের পৃতিত্ব না হারায়, যারা ইন্দোন দিয়েছে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে, মা বোনদের ইজ্জত নিয়েছে তাদের আমি কঠোর শাস্তি চাই, যেন এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।

এদিকে সাবেক সুজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।

আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হারুনুর রশিদ বলেন গতকালকেই মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে, আশা করি দ্রুত আসামিদেরকে ধরে এনে আইনের আওতায় আনা হবে ।

আরো দেখুনঃ