স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মা ও মেয়ের আন্তহত্যার চেষ্টা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী সদরের কবরস্থান মোড় এলাকায় রেশমা আক্তার (২৮) স্বামীর পরকীয়া ও শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন সয্য করতে না পেরে আন্তহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রেশমার পিতা মোঃ জমির উদ্দিন ও রেশমা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ১৬ই মে সন্ধা ৬টার দিকে। রেশমার পিতা মোঃ জমির উদ্দিন জানিয়েছেন এক রিক্সা চালকের মোবাইল ফোন পেয়ে আমি ডিমলা থেকে নীলফামারী আসি, রিক্সা চালক মোবাইল ফোনে জানান, আমার মেয়ে রেশমা আক্তার ও নাতনি মুনিয়া (৮) কে নিয়ে আন্তহত্যা করার জন্য রেল লাইনের ধারে ঘুরছিল, একটি রিক্সা চালক টের পেয়ে রেশমাকে আটক করে আমাকে মোবাইল এর মাধ্যমে ফোন করেন।

২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে বিবাহ হয় আমার রেশমা আক্তারের নীলফামারী কবরস্থান মোড়ের মৃত: মোবারক মিয়ার ছেলে মুরাদুজ্জামান মুরাদ এর সাথে। বিয়ের পর রেশমার কোলজুরে আসে একটি কন্যা সন্তান তার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমার মেয়েকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে ও আমার কাছ থেকে দফায় দফায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা নেয় মুরাদুজ্জামান মুরাদ। নারী লোভী ও পরকীয়া আসক্ত মুরাদ এক নারীতে সন্তষ্ট না থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নারীর সাথে পরকীয়া সম্পক করে। এ বিষয়ে নীলফামারী ডোমার, ডিমলা, সৈয়দপুর, দেবীগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে মুরাদুজ্জামান মুরাদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আমার মেয়ে চার মাসের অন্তসত্তা। বর্তমানে ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, রেশমার শরীরে বিভিন্ন আঘাত ও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষার রির্পোট আসলে বোঝা যাবে। গর্ভের সন্তানটি কেমন আছে।

এ বিষয়ে রেশমা আক্তার জানান, আমার স্বামী বিভিন্ন নারীতে আসক্ত। গতকাল আমার বিছানায় অন্য মেয়ে চুল ও কয়েকটি আলামত দেখতে পাই। পরে আমি আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতে নাতে ধরি, এর পরেই আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারপিঠ করে ও বাড়ী থেকে বের করে দেয়। সর্বশেষ আমার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য পেটে লাথি মারে, এর আগেও একটি সন্তান একই ভাবে নষ্ট করে। আমি আমার স্বামী মুরাদুজ্জামান মুরাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

মুরাদুজ্জামান মুরাদের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে তার স্ত্রীকে মারধরের পর তার বাসায় ভাড়া থাকা ডাক পিয়ন সুমন এর স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে মুরাদ পালিয়ে গেছে।

বকরস্থান মোড়ে এলাবাসী জানিয়েছে, মুরাদুজ্জামান মুরাদ প্রতিনিয়ত এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। আমরা তার নোংরামীর ভয়ে কোন কথা বলতে পারি না।

এ বিষয়ে রেশমা আক্তারের পিতা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে নীলফামারী পুলিশ এই ঘটনার পর থেকে মুরাদ ও শারমিনকে খুজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে

আরো দেখুনঃ