আঁখির প্রেমে বিলকিস এখন নোয়াখালী ছেড়ে টাঙ্গাইলে!
অনলাইন ডেস্ক।।
টাঙ্গাইলের এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় নোয়াখালীর এক তরুণীর। সেখান থেকেই তাদের প্রেম। প্রেমের টানে সোমবার দুপুরে নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইল চলে এসেছেন সেই তরুণী। ওই তরুণী জানান, ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। এরপর দুই বছর হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। জড়িয়ে পড়েন প্রেমে। তবে তাদের এই সম্পর্ক মানতে পারছে না পরিবার।
তিনি বলেন, ‘আমি ওকে ভালোবাসি, তাই চলে এসেছি। আমি আমার ফ্যামিলিকে বলেছিলাম, ওর কাছে যাব, কিন্তু উনারা রাজি হয়নি। তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না, তাই বাড়ি থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন ওর পরিবার না মানলে আমরা দুজনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করব।’
টাঙ্গাইলের ওই নবম শ্রেণির ছাত্রী বলেন, ‘ওকে নিয়ে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। আমরা ঢাকায় দেখা করেছি। ঢাকায় আমাদের ফ্যামিলি গিয়ে আমাদের আলাদা করে নিয়ে এসেছে। আমার ফোন নিয়ে নিয়েছিল। কয়েক দিন পর ফোন ফেরত দেয়। তখন আবার আমরা কন্ট্যাক্ট করে ওকে আমার বাসায় নিয়ে এসেছি।
‘সামাজিকভাবে আমাদের মানবে না, কিন্তু আমি ওর সঙ্গেই থাকতে চাই। বাঁচলেও ওর সঙ্গে, মরলেও ওর সঙ্গে। পুলিশ বা তারা যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায়, তাহলে দুজনকে একসঙ্গেই মারবে। আর যদি বাঁচিয়ে রাখতে চায়, তাহলে দুজনকেই রাখতে হবে।’
মেয়েটির মা বলেন, ‘অনেক আগে থেকে না করছিলাম। এর আগে ওরা ঢাকা চলে গেছিল। তারপর দুজনকে আলাদা করে রাখছিলাম। পরে এখন আবার চইলা আসছে। তাদের এই সম্পর্কের কারণে মানুষ বাড়িতে ভিড় জমাইতেছে। ‘আমরা ওই মেয়ের পরিবারকে খবর দিছি। তারা আসার পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দুই নারীর প্রেম বিস্মিত করছে স্থানীয়দের। সিয়াম নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘জীবনের প্রথম এই রকম ঘটনা দেখলাম। এ রকম কোনো দিন দেখি নাই। বিষয়টি দেখে খুব অবাক হলাম।’
৭০ বছর বয়সী আঙ্গুর বলেন, ‘মেয়ে-মেয়ে সম্পর্ক কোনো দিন দেখি নাই। একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচবে না। বিষয়টি আসলে রহস্যজনক।’
টাঙ্গাইলের মাহমুদুল হাসান কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক বি এম দিপক পাল মনে করেন, ‘সব সময় যে মেয়েদের এই আকর্ষণ থাকবে, তা নয়। যেকোনো সময় তাদের মানসিকতার পরিবর্তন হতে পারে। তাদের দুজনের মাঝে সাময়িক একটা বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।’