কুবিতে ‘এসিএস স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার’ এর যাত্রা শুরু
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির (এসিএস) ‘স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার’-এর যাত্রা শুরু হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত এবং পরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রদীপ দেবনাথ, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এ কে এম রায়হান উদ্দিন এবং এসিএস-এর অনুষদ উপদেষ্টা ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাজেদ পাটোয়ারী। এছাড়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমানসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এ কে এম রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘এসিএস চ্যাপ্টার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের জন্য গর্বিত বিষয়। আপনাদের এই কার্যক্রমকে আমি সাধুবাদ জানাই। এটার সাথে আমাদের শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা যেভাবে সম্পৃক্ত আছেন, আশা করি এসিএস চ্যাপ্টার সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বব্যাপী একটি নেতৃত্ব তৈরি হবে। এই প্রোগ্রামটির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই আব্দুল মাজেদ পাটোয়ারী স্যারকে। প্রশাসনের নিকট আমার আবেদন থাকবে, স্যাররা যেন আমাদের সহযোগিতা করেন।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘অভিনন্দন জানাই রসায়ন বিভাগকে এসিএস-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য। এখান থেকে আপনারা বিশ্বব্যাপী কর্মকাণ্ড নিয়ে ছড়িয়ে যেতে পারবেন। আপনাদের হাত ধরে এমন কার্যক্রম আরও প্রসারিত হবে। সকলের জন্য শুভকামনা থাকবে।’
উপাচার্য ড. হায়দার আলী বলেন, ‘স্যারদের এবং আয়োজকদের এমন সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিভাগের যে গতানুগতিক শিক্ষা, সেটা থেকে তোমরা বেরিয়ে এসেছ। একজন স্নাতকের ৪০% ব্যাকগ্রাউন্ড জ্ঞান দরকার, বিভাগবহির্ভূত জ্ঞান থাকা দরকার। তাহলে সে সোসাইটির জন্য উপযুক্ত হয়। সামনে থেকে যদি তোমরা এমন ধরনের সেমিনার করো, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের সাহায্য করবে। তোমরা চাইলে আরও কয়েকটি বিভাগ নিয়ে আয়োজন করতে পারো। এই ধরনের বিজ্ঞান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে শিক্ষা জীবনে গবেষণা ও শিল্পসংযুক্তি দরকার। তবেই দেশের জন্য, শিল্পের জন্য যোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে পারবে।’
এসিএস-এর সভাপতি আবু রায়হান বলেন, ‘কিছু স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করার জন্য গত মার্চে আমরা যাত্রা শুরু করি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরা। আমরা সামনে আরও বড় করে বিজ্ঞানভিত্তিক সেমিনার করবো, যেখানে দেশের বাইরে থেকেও আলোচক থাকবে। এসিএস স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা দেশে এবং দেশের বাইরে সবার সাথে যুক্ত হতে পারবো। এখান থেকে স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে, যেটার সুবিধা এই সংগঠনের সদস্য এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে।’