গোমতি নদীর বেরীবাঁধে স্থায়ী স্থাপনা নির্মানের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৩ বছর আগে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের দক্ষিনে বেরিবাঁধের উপরে ৬১ শতাংশ জমি ইজারা নেন উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভুবনঘর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দর মালেকের ছেলে নজরুল ইসলাম। ইজারার শর্ত ভেঙে পরে সেখানে তিনি স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে দোকান তৈরি করেন। স্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ তাকে নোটিশ দিলেও তা তিনি বিদ্ধা আঙ্গুল দেখি কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নামে ইজারা এনে ১শ ৫টি দোকান থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল শনিবার কুমিল্লা শহরের একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভূমি ইজারা নিয়ে ওই উপজেলায় অবৈধভাবে ১শ ৫টি দোকান স্থায়ী ভাবে স্থাপন করেছেন নজরুল ইসলাম। বিষটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরে আসলে গত ২২/০৫ ২০২৩ইং তারিখে (স্মারক নং-৭৪৪) নজরুল ইসলামকে নোটিশ প্রদান করে স্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একসনা লিজ এনে বিষয়টি গোপন করে স্থায়ী লিজের কথা বলে প্রতিটি দোকান গড়ে দশ লক্ষ টাকা করে ১শ ৫টি দোকান দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইজারাদার নজরুল ইসলাম।
কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র বলছে, ৬১ শতাংশ ভূমি ইজারা দেওয়া হয়েছে নজরুল ইসলামের নামে। ইজারাদারের সঙ্গে ২০টি শর্তে চুক্তি হয়। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ভূমি ইজারার শর্তে বলা আছে, ইজারা দেওয়া ওই ভূমিতে অস্থায়ী দোকান ঘর করা যাবে। স্থায়ী স্থাপনা বা দালান নির্মাণ করা যাবে না। এর ব্যতিক্রম হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইজারা বাতিল বা স্থাপনা অপসারণ করতে পারবে। ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করে যাতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে না পারেন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ার (জরিপকারী) ও অফিস সহকারী তদারকির দায়িত্বে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, ইজারা নেওয়া ভূমিতে প্রায় ১শ ৫টি দোকান নির্মিত হয়েছে স্থায়ীভাবে। কোম্পনীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণে গোমতি নদীর বেরিবাধেঁর উপরে বাজারের দুই পাশে ৬১ একর জমিতে দোকান তৈরি করা হয়েছে। আগে যেখানে এক থেকে দেড়শ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে জীবন নির্বাহ করতে পারতো এখন তাদেরকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থায়ী স্থাপনা দেখিয়ে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকান প্রতি দশ লক্ষ টাকা করে ১শ ৫টি দোকান বিক্রি করে ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তারা আরো বলেন, যাদের জমি এখান থেকে অধিগ্রহন করা হয়েছিলো এবং আগে যারা এখানে ব্যবসা করেছে তাদের কেউ এখান থেকে কোন দোকান পায়নি।
তাদের দাবি স্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে আগের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়দের ব্যবসা করে জীবন নির্বাহের সুযোগ করে দেয়ার। লিজ গ্রহিতা নজরুল ইসলামের মুঠো ফোলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ (০১৯২৭-৪০৯১৬৪) পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এফআর/অননিউজ