জোয়ারের পানিতে কয়েকদিন ধরে প্লাবিত হচ্ছে ভোলার ৩৫ গ্রাম
অনলাইন ডেস্ক।।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানির চাপে কয়েক দিন ধরে ভোলা সদর, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন চার-পাঁচ ঘণ্টা পানিবন্দি থাকেন প্রায় ৩৫ গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ।
এছাড়া জোয়ারের পানিতে বসতঘরের পাশাপাশি ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ এবং তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও রাস্তা ঘাট।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন-চার দিনের অতি জোয়ারের পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ ঘর-বাড়ি, পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে এবং রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে রয়েছে।
ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন জানান, জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় আমাদের বাড়ির উঠান, বসতঘর, রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। আমরা গত কয়েক দিন ধরে চার-পাঁচ ঘণ্টা পানিবন্দি থাকি।’
একই এলাকার হালিমা বেগম জানান, ‘জোয়ার এলে রান্না ঘরও তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানির কারণে রান্না-বান্না করতে পারি না। আর রান্না না করার কারণে পরিবারের সবাই আমরা ঠিকমতো খেতেও পারছি না।’
রুমা বেগম জানান, ‘জোয়ারের পানিতে বসতঘরে ঢুকে হাঁটু সমান হয়। তখন আমি ভয়ে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খাটের ওপর ওঠে বসে থাকি। আর জোয়ারের পানি নামার অপেক্ষ করি। কয়েকদিন ধরে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মিলন জানান, জোয়ারের পানিতে তার পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এতে তার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক মো. ঈমন হোসেন বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে শসা, লাউ, করলা, চিচিঙা, কুমড়া ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সাগরে লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তবে কয়েক ঘণ্টা পর আবার পানি নেমে যায়।
তিনি আরও বলেন, মেঘনায় জোয়ারের পানির চাপে কোনো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এছাড়া তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।