দেবিদ্বারে গুচ্ছগ্রামের জরাজীর্ণ ঘরে ঝুঁকি নিয়ে দুই প্রজন্মের বসবাস
আল-আমিন কিবরিয়া, দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
নির্মাণের ২৭ বছরের মধ্যে একবারও সংস্কার হয়নি কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরারচরের গুচ্ছগ্রাম। বসবাসকারী বেড়ে যাওয়াসহ ঘরগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় এখান থেকে অন্যত্র চলে গেছে অনেকে। নির্মাণের ২ বছর পরেই ঘরগুলোর এমন বেহাল অবস্থা হওয়ায় ২৫ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন এখানকার বসিন্দারা।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গুচ্ছগ্রামটিতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরগুলোর টিনের চাল মরিচা ধরে অনেক জায়াগায় ছিদ্র হয়ে গেছে। বেড়ার টিন, কাঠ, দরজা ও জানালাও জারাজীর্ণ হয়ে পরেছে। খসে পরেছে ঘরের সিমেন্টের খুঁটিগুলো। খুটি বিহীন ১০ কামরার ঘরটি ভেঙ্গে পরতে পারে যেকোনো সময়। বর্ষায় বৃষ্টির পানি ও শীতে কুয়াশা ঠেকাতে কেউ কেউ টিনের চালের উপর-নিচে পলিথিন টাঙিয়েছেন। আলো-বাতাস থেকে বাঁচতে ভাঙ্গা বেড়ায়ও দিয়ে রেখেছেন পলিথিন। সরে যাচ্ছে ঘরের মেঝে ও বারান্দার মাটি। এসব ঘরে বসবাসে কষ্টের শেষ নেই তাদের।
সরজমিনে গিয়ে কথা হয়েছে শিউলি আক্তার, গোলাম মোস্তফা, নূরজাহানসহ মমতাজ বেগমের সাথে। তারা জানায়, পানি খাওয়ার নলকূপগুলো অকেজো হয়ে পরেছিলো। নিজেদের অর্থে মেরামত করে ব্যাবহার করছেন। শৌচাগারগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী। এতে করে তাদের মধ্যে রোগ-জীবানু ছড়িয়ে পরছে। তারা আরও জানায়, এখানে যারা বসবাস করে সবাই দিন আনে দিন খায়। অর্থ সংকটে নিজ উদ্যোগে ঘরগুলো মেরামত করতে পারছেন না। ২৫ বছর মেরামতর অভাবে এসব ঘর জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে। উপায় না পেয়ে এসব ঘরেই বসবাস করছেন তারা। বর্তমানে এই ঘরগুলোর যে অবস্থা তাঁদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেবিদ্বার পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, সম্প্রতি আমি বারেরারচর গুচ্ছগ্রামটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সংস্কার না হওয়ায় এখানকার সব ঘরই জরাজীর্ণ। অতি দ্রæত এসব ঘর সংস্কার করা হবে এবং নিবাসীদের জন্য নতুন শৌচাগার ও নলকূপ স্থাপন করা হবে।