নড়াইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণ

নড়াইল প্রতিনিধি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘এসএসসি-এইচএসসি পাশ করার পর একটি জেলা-উপজেলা থেকে তরুন-তরুনীদেরকে আমরা ওই জেলাতে যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার চালুর পর ৩মাসের সার্কিফিকেট কোর্স, ৬মাসের ডিপ্লোমা কোর্স, এইভাবে ছোট ছোট কোর্স রেখে মোবাইল এপ্লিকেশনস্, ওয়েব সাইট ডেভোলপমেন্ট, গেম ডেভোলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এই সম্পর্কে আমাদের তরুন তরুনীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। নড়াইলের মাটি থেকে প্রতিবছর যাতে ১হাজার কর্মসংস্থান হয় তার জন্যই ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আজকে আমরা শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হলো।

শুক্রবার (২ জুন) বিকালে নড়াইলের সীমাখালী এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপণকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘ সকলেরই উচ্চ শিক্ষার দরকার নেই। যারা শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক হতে চান, তারাই শুধু বিশ^বিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাবেন। এসময় তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।

এসময় তিনি বেশ কয়েকটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি নাকসী হাইস্কুল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এছাড়া তিনি ১৫জন নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ৫০হাজার টাকা করে মোট সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এর আগে জুনাইদ আহমদ পলক নড়াইল সদর উপজেলায় ‘জয় সেট সেন্টার’ এর উদ্বোধন করেন।

এসব কর্মসূচিতে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম সহ প্রশানের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জানাগেছে, শহর সংলগ্ন আউড়িয়া ইউনিয়নের সীমখালী মৌজায় চার একর জমির ওপর ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারটি নির্মিত হবে। আগামী দুবছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ।

আরো দেখুনঃ