নীলফামারী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে দলিল গায়েব

নীলফামারী প্রতিনিধি।।
জমি ক্রয়ের ১৪ বছর পার হলেও নীলফামারী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে জমির দলিল হাতে না পেয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন জমির ক্রেতা প্রবীর দাস। ফলে প্রতি বছর সরকারি কোষাগারে জমির খাজনা খারিজের টাকা জমা দিতে পারছেন না ক্রেতা।

জমির ক্রেতা প্রবীর দাস জানান, ২০০৮ সালে আমি একটি জমি ক্রয় করি সরকারী নিয়ম মেনে রিসিভের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে রাজস্ব প্রদান করে একটি দাগে জমি রেজিস্ট্রি করি যার দলিল নং- ৩১৫৩/২০০৮ইং। জমি কেনার পরে কয়েক দফা রেজিস্ট্রারের দেয়া সময় পার হয়ে গেলেও আজ ১৪ বছরেও জমির দলিল দেয়নি আমাকে। আমি ক্রয়কৃত জমির কাগজপত্র চাই।

সাব-রেজিস্টার অফিস সূত্র থেকে জানাগেছে ৩১৫৩/২০০৮ সালের দলিল ও বালাম বই এর পাতা ফাঁকা রয়েছে। এই দলিলটি লিখতে দেয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে নকল নবিশ শিল্পী দত্ত কে। তার পর থেকে দলিলটি উধাও।

এ বিষয়ে নকল নবিশ শিল্পী দত্ত জানিয়েছেন, আমি এ বিষরে কিছু জানিনা। আমাকে লিখতে দিয়েছিল আমি দলিল টি না পেয়ে আবার অফিসে জানিয়েছি।

সদর সাব-রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, অভিযোগ পেয়ে অফিসের লোক লাগিয়ে দিয়েছি এখন ও হদিস মেলেনি দলিলটির, হয়তো কোনখানে আছে আরো ভাল ভাবে খুজতে হবে। নয় তো বা উরি পোকায় খেয়েছে। এছাড়াও একাধিবার অফিস বদলের কারণে অন্য কোথাও ঢুকে থাকতে পারে।

তবে একাধিক সুত্র জানিয়েছে, ৩১৫৩ দলিলটি না পেয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নকল নবিশ শিল্পী দত্তকে বাঁচাতে মুল দলিল ছাড়াই ফাঁকা বালাম বইটির পাতা পুরন করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র। সুত্র আরো জানায় সাব-রেজিস্ট্রার এর সাথে পরামর্শক্রমে এই দলিলটি সম্পূর্ণ করা হবে।

জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ সাকাওয়াত হোসেন জানান এভাবে বালাম বই লিখে পুরন করার সুযোগ নেই। বালাম বই ও দলিলে সেই সময় কার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সহ অনেকের স্বাক্ষর লাগবে। চাইলেই যা খুশি তা করা যায় না।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ