বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ক্রেইন প্রকল্পের উদ্যোগে পুষ্টি মেলার উদ্বোধন
বাগেরহাট প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আজ সোমবার(২৭ ডিসেম্বর) ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এর সহায়তা ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড-এর নেতৃত্বে এবং উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস এর উদ্যোগে ‘পুষ্টি উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক সমন্বিত প্রকল্প ‘ক্রেইন’এর আওতায় ৭নং আটজুড়ী ইউনিয়নে পুষ্টি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভান্ডারখোলা মাঠে উক্ত মেলার উদ্বোধন করেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়াহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কপিল বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোল্লাহাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ আলী মোহনসহ আটজুড়ী ইউপি’র সকল সদস্যবৃন্দ।
উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত পুষ্টি মেলার প্রধান অতিথি মেলায় আগত সরকারী-বেসরকারী ১০টি ষ্টল ঘুরে দেখেন এবং পুষ্টি বিষয়ক প্রদর্শনী দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধান অতিথি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে পুষ্টির গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, মানব দেহের জন্য পুষ্টি একটি অপরিহার্য বিষয়। পুষ্টি ছাড়া কোন মানুষ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারেনা। কর্মক্ষম থাকতে এবং শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। উপস্থিত সকলকে তিনি পুষ্টি বিষয়ে সচেতন হয়ে তা নিজ জীবনে প্রতিপালন করা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং জনপ্রতিনিধিদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ক্রেইন প্রকল্পের সহযোগিতায় উপজেলার অন্য ৬টি ইউনিয়নে ও পুষ্টি মেলা সম্পন্ন হয়েছে। মেলায় উপজেলা কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্র্যাক ও প্রাইভেট সেক্টর এর মালিকসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা বিষয়ক স্টল পরিচালনা করছে। মেলার সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ক্রেইন প্রকল্পের পুষ্টিবিদ আব্দুল মোতালেব এবং উপজেলা সমন্বয়কারী নব কুমার সাহা।
উল্লেখ্য, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর অর্থায়নে ওয়াটার এইড, রূপান্তর ও জেজেএস এর সমন্বয়ে গঠিত কোস্টাল কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় চারটি উপজেলায় (মোল্লাহাট, কচুয়া, মোংলা ও শরণখোলা) সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুষ্টির সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।