বুড়িচং থেকে ১৩ টন বীজ কিনলো ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

যতই দিন যাচ্ছে ধানের আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। নতুন করে ধানের আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ কম। বিশেষ করে বোরো ও আমন ধানের বেলায়। অপরদিকে ধানের প্রচলিত জাত সমূহে নানা রোগ-পোকার আক্রমণ, কোন কোন মৌসুমে অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ইত্যাদি কারণে ফলনে আঘাত আসে। আশার কথা এ সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে ধানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জাত অবমুক্ত করছে। আর মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে এলাকা উপযোগী আধুনিক জাত সমূহ ছড়িয়ে দিতে কাজ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

বুড়িচং উপজেলার কৃষকদের মাঝে নতুন নতুন জাত আবাদে আগ্রহ তৈরি ও বীজ উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। বুড়িচং এর বীজ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ১৩ মেট্রিক টন বীজ কিনে নিয়েছে ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা। তার মধ্যে প্রথমবার চাষ করেই ব্রি ধান৯৬ এর ৬ টন ও বঙ্গবন্ধু ধান১০০ এর ৩ টন বীজ বিক্রয় করেছে মোট ১১ জন কৃষক। কারো জমি এক বিঘা কারোবা দুই। সংরক্ষিত বীজের পরিমাণ ৫০০ কেজি থেকে ১ টন। দুটো জাতটি বহুল জনপ্রিয় ব্রি ধান২৮ এর পরিবর্তে চাষ করছেন কৃষক। একই জীবনকালের ব্রি ধান৮৮ এর বীজ বিক্রয় হয়েছে এক টন। অপরদিকে দীর্ঘ জীবনকালের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান২৯ এর পরিবর্তে নতুন জাত ব্রি ধান৮৯ এর ৩ টন ও ব্রি ধান৯২ এর ৫০০ কেজি বীজ বিক্রয় হয়েছে।

বীজ সংগ্রহ কার্যক্রমের সমন্বয়কারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। বীজের মাঠ মান ঠিক রাখতে রগিং এবং মাড়াই-ঝাড়াই ও বীজ শুকানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আমরা ২০ টন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলাম। জুন মাসের ৪-৫ দিনের ভারী বর্ষণে দীর্ঘ জীবনকালের ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি ধান৯২ এর ধান কাটাই আগেই অঙ্কুরিত হয়ে যায়। তবে ৯ টি গ্রামের কৃষককেরা বীজ সরবরাহ কাজে জড়িত ছিল। বলতে গেলে সমগ্র উপজেলার কৃষকদের মাঝে বীজ সংরক্ষণের ইতিবাচক মনোভাব আমরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা. আফরিণা আক্তার জানান, ধানের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণে উপসহকারি কৃষি অফিসার বৃন্দ কাজ করছেন। ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা কে ১৩ টন বীজ সরবরাহ করেতে পারাটা একটি সাফল্য। একই সাথে এটি বুড়িচং এর বীজ উৎপাদন সক্ষমতার উদাহরণ।

আরো দেখুনঃ