রংপুরে প্রাইমারি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ধানের গোডাউন
স্টাফ রিপোর্টার।।
পেঁয়াজের পর এবার রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বোরো ধান গোডাউনজাত করে সমালোচনায় এসেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মজমুল হক। শনিবার (২১ মে) বিকালে সংশ্লিষ্ট স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তবে প্রধান শিক্ষক মজমুল হক বৈরি আবহাওয়ার কারণে তাৎক্ষনিকভাবে ধান গোডাউনজাত করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এলাকাবাসি ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক মজমুল হক তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্কুল মাঠে খরের স্তুপ ও শ্রেণি কক্ষে ধান,পাট ও ভুট্টা গুদামজাত করে বিক্রি করে আসছেন এছাড়াও বিদ্যালয়ের বারান্দায় গরু-ছাগল পালন করেন। এই কর্মকান্ডে এলাকাবাসি বাধা দিলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক মজমুল হক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের বসার বেঞ্চগুলো এক পাশে করে স্কুলের বেশ কয়েকটি কক্ষে ধান গোডাউনজাত করা হয়েছে। এতে করে মেঝেতে বসে তাদের ক্লাশ করতে হচ্ছে। স্যারের ভয়ে আমরা ধান রাখার বিষয়টি কাউকে বলিনি।
শ্রেণিকক্ষে ধান মজুত রাখায় স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ওয়ারেস আলী বলেন, আমি স্কুল থেকে ধান বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি আমার কথার গুরুত্ব দেননি।
শ্রেণিকক্ষে ধান রাখার বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মজমুল হক বলেন, শুক্রবার ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে তাৎক্ষনিকভাবে স্কুলে ধান রাখি। এটি সারা বছরের জন্য নয়। এবিষয়ে রংপুর সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। বিষয়টি প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নুর নাহার বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ কেউ নিজের সাংসারিক কাজে ব্যবহার করতে পারেনা। বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।