সপ্তাহের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পাইকাড়িতে পেয়াজের দাম কমেছে ৩টাকা
হিলি প্রতিনিধি

বাজারে দেশীয় পেয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেয়াজের চাহীদা কমলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকায় পাইকাড়িতে পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩টাকা করে। এদিকে পেয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষজনের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহপুর্বে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেয়াজ ২১ থেকে ২২টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৮ থেকে ১৯টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেয়াজ ৩৮ থেকে ৩৯টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৫ থেকে ৩৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বলেন, পাবনা মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবারে প্রচুর পরিমানে পেয়াজের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে সেসব এলাকার ক্ষেত থেকে পেয়াজ উঠার ফলে দেশের বাজারে দেশীয় পেয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সেই সাথে দেশীয় পেয়াজের দাম অনেকটা কম ১৮/১৯টাকা বিক্রি হচ্ছে যার কারনে দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে আগে যেখানে ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা ছিল।এখন সেসব অঞ্চলে দেশীয় পেয়াজের চাহীদা বেড়েছে ভারতীয় পেয়াজ তেমন একটা কেউ নিতে চাইছেনা।এর ফলে দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে এসেছে।এর পরেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকায় দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ার কারনেই দাম কমছে। তবে দেশের বাজারে পেয়াজের দাম কমের কারনে পেয়াজ আমদানি করে লোকশান গুনতে হওয়ায় বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।তারপরেও পেয়াজের ক্রেতা না থাকায় ও দাম কমের কারনে আমদানিকৃত অনেক পেয়াজ বন্দর থেকে ছাড় করে আমদানিকারকরা তাদের গুদামে নামিয়ে রাখছেন।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে তবে আমদানির পরিমান কিছুটা বেড়েছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমে ৩/৫ ট্রাকে নেমেছিল এখন তা কিছুটা বেড়ে ৮ থেকে ১০ ট্রাকে দাড়িয়েছে। বুধবার বন্দর দিয়ে ৮টি ট্রাকে ২৩১টন পেয়াজ আমদানি হয়েছিল সেখানে বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১০টি ট্রাকে ২৬৮টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ যেহেতু কাচামাল তাই আমদানিকারকরা অতিদ্রুত যেন বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারবেন সে ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বন্দর কতৃপক্ষ।