একদিনের ব্যবধানে হিলিতে শশার দাম বেড়ে দ্বিগুন
হিলি প্রতিনিধি
![](https://onnews24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সরবরাহ কমের অজুহাতে একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে শশার দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। একদিন আগেও যে শশা ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল সেই শশা বর্তমানে ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কাচামরিচের দাম কেজিতে ৫০টাকা বেড়ে বর্তমানে ১১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে হঠাৎ করেই এসব পণ্যের এমন দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারন মানুষ।
হিলি বাজারে শশা কিনতে আসা মিরাজুল ইসলাম বলেন, একদিন আগেও বাজার থেকে শশা কিনে নিয়ে গেলাম ৪০টাকা কেজি দরে। সেই শশা রাতের ব্যবধানে দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেলো। বর্তমানে বাজারে ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই শশা। বিক্রেতারা সরবরাহ কম বললেও বাজারে সব দোকানেই পর্যাপ্ত শশা রয়েছে তারপরেও দাম বেশী। ব্যবসায়ীরা যেই দেখছে কোরবানীর ঈদে শশার চাহীদা বেশী থাকে মানুষজন একটু বেশী করে নেয় সেই সুযোগে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
হিলি বাজারে কাচামরিচ কিনতে আসা আব্দুল মালেক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কাচামরিচের দাম বেড়েই চলছে একসপ্তাহ পুর্বে যে কাচামরিচ ৪০/৫০টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম এখন সেই কাচামরিচ ১১০টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। এত দাম বাড়লে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষ চলবো কিভাবে। বাড়তি দামের কারনে আমরা কিভাবে কিনবো আর কিভাবে খাবো। এতে করে আমাদের সংসারের ব্যায়ভার মেটানো অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।বাধ্য হয়ে ব্যায়ভার মেটাতে কাচামরিচ ক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দিয়েছি আগে যেখানে এক কেজি কাচামরিচ কিনতাম এখন সেখানে আড়াইশো গ্রাম কিনছি।
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, আসলেই শশার দাম বাড়ার কারন মোকামেই আমাদের বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। যেহেতু রাত পোহালেই ঈদ এসময় বাজারে শশার একটু বাড়তি চাহীদা থাকে যার কারনে সব দোকানীরাই শশা সংগ্রহ করে থাকেন। সেই সাথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব শশা চলে যাচ্ছে যার কারনে আমরা যে মোকাম থেকে শশা কিনতাম সেখানে বাহিরের পাইকাররা আসায় সবাই প্রতিযোগীতা করে দাম বাড়িয়ে কিনছে। এই সুযোগে মোকামে ব্যবসায়ীরা শশার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন যার কারনেই দাম বাড়ছে।
হিলি বাজারের কাচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, দামে পড়তা না থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত থেকে কাচামরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে দেশীয় কাচামরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এতদিন দাম কমতির দিকে ছিল। কিন্তু গতকয়েক দিন ধরে আবহাওয়া খারাপ কখনো রোদ আবার কখনো ঝড় বৃষ্টি আবার কখনো প্রচন্ড গরম বিরাজ করছে। এর কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাচামরিচের ফুল নষ্ট হয়ে কাচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে করে বাজারে চাহীদার তুলনায় কাচামরিচের সররবাহ কমেছে যার কারনে কাচামরিচের দাম বাড়ছে।