অক্টোবরের ১৩ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ১৫৯ জনের
সার্বিকভাবে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কিছুটা কমলেও আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মতোই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। অক্টোবরের ১৩ দিনেই ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৬৯ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১ হাজার ৭৯৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবরের প্রথম দিনে ডেঙ্গুতে ১৭ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৮৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, ২ অক্টোবর ১১ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ৫৯৬ জন, ৩ অক্টোবর ১৩ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ৭৯৯ জন, ৪ অক্টোবর ১৬ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ৫৬৪ জন, ৫ অক্টোবর ৯ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ৬১৭ জন, ৬ অক্টোবর ৯ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত এক হাজার ৮০০ জন, ৭ অক্টোবর ১৫ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ১৫৮ জন, ৮ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ৭৪২ জন, ৯ অক্টোবর দশজনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত দুই হাজার ৬৬০ জন।
এ ছাড়া ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন ডেঙ্গুতে ১৩ জন করে মারা গেছেন। একই সময়ে যথাক্রমে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৫৫ জন, দুই হাজার ৪২৫ জন, দুই হাজার ৩২৭ জন এবং এক হাজার ৬৭৩ জন।
অন্যদিকে মাসিক পরিসংখ্যানে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরে। মাসটিতে ৩৯৬ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন।
এ ছাড়া জানুয়ারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন। ফেব্রুয়ারীতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মৃত্যু তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এপ্রিলে দুইজনের মৃত্যু এবং ১৪৩ আক্রান্ত হয়েছেন। মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন আক্রান্ত এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই পাঁচ মাসে ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ২২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জুলাইয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু এবং ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আগস্টে ৩৪২ জনের মৃত্যু এবং ৭১ হাজার ৯৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির ধারাবাহিতকা না থাকলে অনেকটা কমতে পারে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। তবুও বছর জুড়েই অব্যাহত রাখতে হবে মশক নিধন অভিযান।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৮০৮ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ১৪৮ জন। এরমধ্যে ঢাকা সিটির ৭১৭ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ৪৩১ জন।