নীলফামারীতে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে পুণঃনির্বাচনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ

সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী ।।

নীলফামারী সদরের ১১ নভেম্বর চড়াইখোলা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে পরাজিত তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। শুক্রবার(১২ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন শেষে ওই ইউনিয়নের দারোয়ানী বাজারে কয়েক দফায় সড়ক অবরোধ করেন তারা।

ইউনিয়নটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসাদুল হক শাহ (চশমা) অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন শেষে চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডে অরক্ষিত অবস্থান ব্যালট পেপারের একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। রাতে ওই ঘটনার পর নির্বাচনের কাজে নিয়োজিতদের যোগসাযোগে ভোট কারচুপি ও ডাকাতির সন্দেহ প্রমানিত হয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও এলাকার ভোটারদের কাছে। আমরা তাৎক্ষণিক সেটির প্রতিবাদ জানালে রাতে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হলেও আমাদের অজান্তে ভোর রাতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুম রেজাকে (মোটরসাইকেল) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, ওই মাসুম রেজা একজন ডিআইজির নিকট আত্মীয়। নির্বাচনে তার চাচার প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন এলাকায়। ভোটের দিন নিয়োজিত কর্মকর্তাদের যোগসাযোসে ব্যাপক কারচুপি করেছেন। সবশেষ ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ব্যালট বস্তাবন্দী করে রেখে নিজের সরবরাহকৃত ব্যালট বাক্সে ঢুকান।

অপর প্রতিদ্বন্দ্বী মুরাদ হোসেন প্রামানিক (আনারস) বলেন, তারা ওই ব্যালট গায়েব করার জন্য বাথরুমে রেখেছিলেন। ভোটকেন্দ্র থেকে সকলে চলে যাওয়ার পর সেটি চোখে পড়ে এলাকাবাসীর। এঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী পুণঃনির্বাচনের দাবিতে সোচ্ছার হয়ে ওঠে। এমন দাবিতে আমরা শুক্রবার জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন ও দারোয়ানী বাজারে সড়ক অবরোধ করি। ওই ফলাফল বাতিল এবং পুণনির্বাচন দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।

একই অভিযোগ করেন অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুর রহমান (ঘোড়া) সহ এলাকার অনেক ভোটার। ভোটার শাহপাড়া গ্রামের মাসুম শাহ (২৮) বলেন, এমনটি হলে আমার ভোটের মূল্য কী ? কারচুপির ভোট আমরা মানি না। যারা ওই ভোট ডাকাতির সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি এবং পুণঃনির্বাচন চাই। এমন দাবি করেন বানিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া (২৭), হানিফ সরকারসহ (২৭) অনেকে।

এবিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফলাফল বাতিল করার সুযোগ নেই। তিনি চাইলে ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ব্যালটের বস্তা ফেলে আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, তাড়াহুরার মধ্যে ভুল বশত ব্যালটের একটি বস্তা ছেড়ে এসছিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

এরপর তিনি গিয়ে ওই বস্তা নিয়ে এসছেন। এজন্য ফলাফল ঘোষনায় একটু বিলম্ব ঘটে। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যে গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।

 

আরো দেখুনঃ