নীলফামারীতে পয়-শৌচাগার ভেঙ্গে ফেলায় ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ

সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী:

নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে পয়-শৌচাগার ভেঙ্গে জেনারেটর রুম বানানোয় বড় ভিটা হাট বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পয়-শৌচাগার না থাকার কারণে শতাধিক ব্যবসায়ী খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা হাট ইজারাদারকে কোন প্রকার টোল দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে। ফলে পয়-শৌচাগারটিতে ৩টি তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থায়ী ব্যবসায়ী উমর আলী বলেন, এই বাজারটিতে ১৪ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি। হঠাৎ কি এমন হইল যে হামার পায়খানা প্রসাব করার জায়গা খান ভাঙ্গী জেনারেটর রুম বানেয়া ভাড়া দেবার লাগবে। হামরা কি ভাবে দোকনদারী করব। কাঁচা মাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৩০/৩৫ বছর থাকিয়া আমরা এই হাট বাজারে ব্যবসা করে আসছি সকাল ৮টার সময় আসি রাত ১০টায় যাই। সারা দিনে কত বার পায়খানা প্রসাব করা লাগে আমাদের আমরা কোথায় যাব। পান ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বিরেন রায় ও মোঃ কাশেম বলেন, ইউনিয়ন তহশিলদার হঠাৎ করে পায়খানা ভেঙ্গে দিয়ে জেনারেটর রুম বানালো কি কারণে আমরা কি বাজারের টোল দেইনা। আমরা পায়খানা-প্রসাব খানা না পেলে কোন প্রকার টোল দিব না।

সুইপার রঞ্জিত বলেন, আমি পয়-শৌচাগারটি পরিচালনা করি, ২টা লেট্রিন খারাপ ছিল আর ২টি দিয়ে ব্যবহার করছিল ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ পয়-শৌচাগারটি ভেঙ্গে জেনারেটর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কাজ তহশিলদার কেনো করলো আমি জানিনা।

এ বিষয়ে হাট ইজারাদার আ.ন.ম মঞ্জুরুল হক জানান, আমাদের কারো সাথে কথা না বলে তহশিলদার পয়-শৌচাগার ভেঙ্গে জেনারেটর বসিয়েছে এ কারণে ব্যবসায়ীরা প্রসাব-পায়খানা করতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে আমাদের টোল দেওয়া বন্ধ করেছে। অথৎ তহশিলদার এসব ঘটনা ঘটাল আমি যে হাট ইজারাদার আমাকেও ঠিকভাবে বিষয়টি জানায়নি। এমনকি হাট বাজার কমিটির সভাপতি তিনিও এ বিষয় জানেন না।

এ বিষয়ে বড় ভিটা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরো দেখুনঃ