নীলফামারীর জলঢাকায় কবিরাজি চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ কবিরাজ ও তার ছেলেকে আটক

সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী

কবিরাজি চিকিৎসার নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলায় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার ছেলেকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে জলঢাকা থানা পুলিশ।

গত কাল শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার( ৬ অক্টোবর) সন্ধায় ভুক্তভোগী নারীর মা মোর্শেদা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান(৪৫) ও ছেলে মজিবুল রহমান (৩০) উপজেলার বগুলাগাড়ি ব্রিজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, চিকিৎসার কারণে ভুক্তভোগী নারীর সাথে পরিচয় হয় কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমানের। এক পর্যায়ে কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে বশ করে প্রেমের ফাদে ফেলে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মিজানুর রহমান। এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে শারীরিক সম্পর্ক ও নির্যাতন করেন তিনি।

পরে এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভাড়া বাসায় যাওয়া ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কথিত কবিরাজ মিজানুর রহমান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার বার যোগাযোগ করেও কথিত স্বামী মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে তার বাড়িতে যায় ভুক্তভোগী নারী। এসময় কবিরাজ মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা শারীরিক নির্যাতন ও গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির বাইরে টেনে এনে পাশের সেচ ক্যানেলের পাশে কবিরাজ মিজানুরের ছেলে মবিলুর রহমান ভুক্তভোগী নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী জ্ঞান হারালে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার।

অবস্থার অবনতি হলে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই নারীর মা ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা করেন।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, নারী শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। ওই মামলায় কবিরাজ মিজানুর ও তার ছেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরো দেখুনঃ