নড়াইলে কৃষক লাঞ্ছনাকারী সার ডিলারের বিচার ও লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে মানবন্ধন

আবদুস সাত্তার, নড়াইল প্রতিনিধি।।

নড়াইলে সার কিনতে আসা এক কৃষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্ত পৌরসভার রুপগঞ্জ বাজারের সার ডিলার, জেলা চেম্বার অব কামার্সের সভাপতি মোঃ হাসানুজ্জামানের বিচার ও সার ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রæয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের আদালত সড়কে জেলা কৃষকলীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগসহ কৃষকদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি ও লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক শামীম আতিক মহিদ, পৌর কাউন্সিলর ইপিরানী অধিকারী, কৃষক সোহেল, লাঞ্ছিত কৃষক আলী আহম্মদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামরুজ্জামান কামাল, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৭ সালে হাসানুজ্জামানকে সার চুরির অপরাধে জেলা খাটতে হয়েছিল। তারপরে ও কিভাবে তার সারের ডিলারশীপ থাকে জানতে চাই প্রশাসনের কাছে। জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বক্তব্যে বলেন, ‘ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের মধ্যে যদি হাসানুজ্জামানের বিচার ও ডিলারশীপ বাতিল করা না হলে া লাগাতার আন্দোলন দেয়া হবে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও ডিলারের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ মানববন্ধনে কৃষকলীগ, ছাত্রলীগসহ কৃষকগন সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা মৎস্যজিবী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯৭ সালে হাসানুজ্জামানকে সার চুরির অপরাধে জেলা খাটতে হয়েছিল। তারপরে ও কিভাবে তার সারের ডিলারশীপ থাকে জানতে চাই প্রশাসনের কাছে। জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বক্তব্যে বলেন,‘ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের মধ্যে যদি হাসানুজ্জামানের বিচার ও ডিলারশীপ বাতিল করা না হয় নতুবা লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেন। বিক্ষোভ মিশিলে হাসানের দইুগালে জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রæয়ারী নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর গ্রামের কৃষক আলী আহম্মদ সার ডিলার হাসানাুজ্জামাদেনর ঘরে যান। সেখানে সার কিনতে গেলে সার ডিলার হাসানুজ্জামানের ম্যানেজার অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। তখন ওই কৃষক মেমো দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কৃষককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এক পর্যায়ে ঘাড় ধরে নিয়ে সার ডিলার হাসানুজ্জামানের কাছে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর নড়াইলের বিভিন্ন সংগঠন ও কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।

আরো দেখুনঃ