বুড়িচংয়ে চাঁদা না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা

বুড়িচং প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালীকৃষ্ণনগর এলাকার মাদক ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ( ৬ মার্চ সোমবার )বুড়িচং বাজারে স্থানীয় একটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন হামলায় গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের ছেলে আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোসা: আছমা আক্তার তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ভাই রাছেল মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত (২৮ফেব্রুয়ারি) বুড়িচং উপজেলা বাকশীমূল ইউনিয়নের কালীকৃষ্ণনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিল এর পরিবারের উপর একই গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে আসুক ও জুয়েল এর নেতৃত্বে রাত ৯টায় ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। আমার বোন আছমা এবং তার পরিবার অসহায়, নিরীহ। হামলার কয়েক দিন আগে আ. রাজ্জাকের ছেলে মাদক কারবারি আসুক ও জুয়েল আমার বোনের শশুর এবং বোন জামাইর কাছে চাঁদা চেয়ে আসছে। আমার বোন জামাই বাড়ির পাশে দেয়াল নির্মাণ করায় মাদক কারবারিদের কিছুটা সমস্যায় পরে।

সমস্যায় পড়ার কারণে মুক্তিযোদ্ধা আ. জলিলের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য দাবী করেন। দিতে অসম্মতি প্রকাশ করলে মাদক কারবারি আসুক ও জুয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী তাদের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হয় মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিলের ছেলের বৌ আছমা আক্তার সহ ৫/৬ জন। এসময় বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে প্রায় ১লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে এবং রাতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আলমগীরকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে ঘুরে কোন বিচার না পেয়ে গত ৫ মার্চ কুমিল্লা আদালতে মামলা করি। মামলা করার পর বার বার হুমকি- ধমকি দিয়ে আসছে আসুক, জুয়েল গংরা।তাদেরকে পুরোপুরি ভাবে সর্বদিক দিয়ে সহযোগীতা করে যাচ্ছে আবুল কাশেম মেম্বার, সে আমাদের কোনো কথাই শুনতে চায় না।

প্রশাসনের কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুরোধ করেন হামলাকারী মাদক কারবারিদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করে এবং পাশাপাশি আমার বোন, বোন জামাই সহ তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এ সময় আছমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে বিনা অপরাধে কারাগারে নিয়ে গেছে। তারা নিজেরা হামলা করে নিজেরাই মামলা করে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার স্বামীর মুক্তি এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
শান্ত/অননিউজ

আরো দেখুনঃ