ভেড়ামারায় প্রাণি সম্পদ মেলায় পুরস্কারের নামে প্রহসন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রাণিসম্পদের মেলা নিয়ে অভিযোগ করলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১৬দাগ এলাকার রওশনারা খাতুন ও বামন পাড়া এলাকার জয় হোসেন। মেলায় পশু নিয়ে আসা খামারিদের যাতায়াতের খরচ দেয়া হয়েছে মাত্র ৩শ’ টাকা। অনেকেই আবার পাননি টাকা। দূর থেকে আসা খামারিদের পরিবহন ভাড়ার চেয়েও বাড়তি খরচ নিজের পকেট থেকেই করতে হয়েছে তাদের। অনেকটা দায়সারাভাবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। পুরষ্কারের নামে প্রহসন করা হয়েছে।

ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১৬দাগ এলাকার রওশনারা খাতুন বলেন, ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া পশু হাটে গত ২৬ ফেব্রæয়ারি’২৩ প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় পশু নিয়ে আসা খামারিদের জন্য সরকারি পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও আয়োজনের বেশ কিছু অসংগতি ছিল। সরকারি টাকাও সেখানে লোপাট করা হয়েছে। খামারিদের পশু নিয়ে যাতায়াতের খরচ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩শ’ টাকা। মেলায় দূর থেকে আসা খামারিদের ভাড়া উঠেনি। প্রখর রোদের মধ্যে মেলার স্টল করা হয়েছিল। প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় আর আসবেন না বলেও জানান এই খামারি।

মেলায় আসা আরেকজন খামারি মেহেদী হাসান বলেন, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী এ মেলা হাস্যকর। আমাদের মত খামারিদের মেলায় নিয়ে এসে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছে। মেলায় নিয়ে এসে তাদের পছন্দ মত লোকজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মেলায় পশু নিয়ে আসা কেউ কেউ পরিবহন খরচের টাকা পেলেও অনেকেই সেই টাকা পাননি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি তাদের।

বামন পাড়া এলাকার জয় হোসেন বলেন, খামারিদের পশু নিয়ে যাতায়াতের খরচ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩শ’ টাকা।
আমাকে ৩শ’ টাকা দিতে গেলে সেটা আমি গ্রহণ করেনী। যাতায়াতের খরচ ৩শ’ টাকার বেশি হয়েছে। পুরষ্কারের নামে আমাদের সাথে প্রহসন করা হয়েছে।

ভেড়ামারা প্রাণিসম্পদ স¤প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) ডাক্তার এনামুল হক বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। মেলা তো শেষ এই নিয়ে খবর প্রচারের কি আছে?’

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ওই খামারিকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা যদি মেলায় তার ছাগল গুলো নিয়ে আসতে বলেন সেক্ষেত্রে তার পরিবহন খরচের টাকা না দিয়ে থাকলে এবং পরিবহন খরচের টাকা কম দিলে এটা খামারির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তবুও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউই আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো দেখুনঃ