ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় হবে প্রজনন স্বাস্থ্য উপকরণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ।।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে দেশের পাঁচ জেলায় আঞ্চলিক ভাষায় কিশোর-কিশোরীদের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক অডিও ভিজ্যুয়াল উপকরণ তৈরীর কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরাক-বাংলাদেশ।

ইউএসআইডি এর অর্থায়নে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় “নলেজ সাকসেস” শীর্ষক প্রকল্পটির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার ময়মনসিংহ শহরে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিরাক-বাংলাদেশ এর সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোঃ সেলিম মিয়া। সিরাক-বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপনায় ৫ টি বিভাগে আঞ্চলিক ভাষায় অডিও ভিজ্যুয়াল তৈরির মাধ্যমে কিভাবে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে তা বিশ্লেষণ করেন।

সিরাক-বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, ময়মনসিংহ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুরুল আমিন কালাম, শান্তি মিত্র সমাজ কল্যাণ সংঘের নির্বাহী পরিচালক সুবর্না পলি দ্রং,ব্র্যাক ডিস্ট্রিক ইয়ুথ মবিলাইজার নুসরাত জাহান।

পরিবার পরিকল্পনা’র সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন সিরাক-বাংলাদেশ নির্মিত স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক পুঁথি’র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বিভিন্ন কারণে আমাদের সচেতনতা বিষয়ক তথ্যগুলো সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে। সিরাক-বাংলাদেশ এর সৃজনশীল এই অডিও ভিজ্যুয়াল উপকরণসমূহ আমাদের কার্যক্রমগুলোকে আরও বেগবান করবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দীন বলেন, ঐতিহ্যকে যুগোপযোগী হিসেবে কিভাবে উপস্থাপন করা সেই বিষয়টি সমন্বয় করা জরুরী। একই সাথে তিনি উদাহরনের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নাট্যতত্তে¡র কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুরুল আমিন কালামবলেন, আঞ্চলিক ভাষায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক উপকরন তৈরীর মাধ্যমে ময়মনসিংহ এর প্রত্যন্ত এলাকায় কুসংস্কার দূর হবে। তিনি পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তরকে সিরাক-বাংলাদেশ সহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অভিনব কার্যক্রমকে চলমান রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান।

উলে­খ্য, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষের দোরগোড়ায় পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আরো ত্বরান্বিত করতে দেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও রাজশাহী জেলায় আঞ্চলিক ভাষায় কিশোর- কিশোরীদের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক অডিও ভিজ্যুয়াল উপকরণ তৈরী করা হবে।

এসকেডি/অননিউজ

আরো দেখুনঃ