মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয় করণসহ ১১ দফাদাবিতে কুমিল্লায় শিক্ষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী পালন করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ওই কর্মসূচীতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেন।

ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নগরীর হাউজিং এস্টেট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা শাখা বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মন্নান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ হানিফ মজুমদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে কোষাধ্যক্ষ মো.ইসমাইল সহ বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। বেলা ১২ টায় শিক্ষকগণ তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরের স্বারক লিপি পেশ করেন।

১১ দফা দাবিগুলো হলো- ১. মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। ২. আসন্ন ঈদের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা প্রদান। ৩. পূর্ণাঙ্গ পেনশন ভাতা চালুকরণ এবং পেনশন ভাতা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান ও শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা৷ ৪. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওকরণ। ৫. সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকগণের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে উন্নতিকরণ। ৬. এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা।

৭.বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নতিকরণ। ৮. পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন। ৯. করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান। ১০. ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন এবং ১১. শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা নীতি ২০১০ দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

আরো দেখুনঃ