সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে শুকনা মরিচের দাম কমেছে

হিলি প্রতিনিধি।।

সরবরাহ বাড়ায় একসপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে শুকনামরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৪০টাকা করে। একসপ্তাহপুর্বে প্রতি কেজি শুকনামরিচ ২৫০ থেকে ২৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২১০ থেকে ২২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এমন সরবরাহ অব্যাহত থাকলে আসন্ন ঈদুল আযহায় দাম বাড়বেনা বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এদিকে শুকনামরিচের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের মানুষজনের মাঝে।

হিলি বাজারে শুকনা মরিচ কিনতে আসা গৃহবধু শিউলি আকতার বলেন, হঠাৎ করেই শুকনা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের কিনতে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। বর্তমানে দাম কমতে শুরু করেছে কেজিতে ৪০টাকা করে শুকনামরিচের দাম কমেছে। এতে করে আমাদের সুবিধা হয়েছে সামনের দিনে দাম যেন আরো কমে এই দাবী জানাচ্ছি।

হিলি বাজারে শুকনা মরিচ কিনতে আসা মিরাজুল ইসলাম বলেন, দুদিন আগেও বাজার থেকে প্রতি কেজি শুকনামরিচ ২৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। একেতো তেল,চাল,ডালসহ সবজিনিসের দাম বৃদ্ধি এর উপর নতুন করে শুকনামরিচের দাম বাড়ায় আমাদের মতো মানুষদের খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। যেহারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছিল সেতুলনায় আমাদের আয় না বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে পরিমান কমিয়ে দিয়ে ব্যায়ভার মেটানো হচ্ছিল। বর্তমানে শুকনা মরিচের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে প্রতি কেজি ২১০ থেকে ২২০টাকায় এতে করে আমাদের সুবিধা হয়েছে। দাম আরো কমলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

হিলি বাজারের শুকনামরিচ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, মাঝে বৈরি আবহাওয়া ঝড় ও বৃষ্টির কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাচামরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে করে কৃষকরা শুকনামরিচ করতে না পারায় কারনে বাজারে এর সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় কাচামরিচের উৎপাদন ভালো হচ্ছে যার ফলে কৃষকরা সেসব শুকিয়ে শুকনামরিচ করতে পারছেন। এছাড়া পুর্বে শুধু বগুড়া থেকে এই অঞ্চলের বাজারগুলোতে শুকনামরিচ আসলেও এখন এর পাশাপাশি পঞ্চগড় অঞ্চল থেকেও বাজারে প্রচুর পরিমানে শুকনামরিচ আসছে। এতে করে বাজারে পণ্যটির চাহীদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় শুকনামরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। সরবরাহ এমন থাকলে সামনের দিনে বিশেষ করে ঈদুল আযহার সময়ে দাম বাড়বেনা উল্টো আরো কমবে বলেও জানান তিনি।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, বাজারে কেউ যেন কৃতিম সংকট তৈরি করে কোন পণ্যের মুল্যবৃদ্ধি করতে না পারে এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো দেখুনঃ