হিলি বাজারে হঠাৎ করে উধাও বেগুন একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে দ্বিগুন

হিলি প্রতিনিধি

পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দিলেও ব্যাতিক্রম বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। রমজানের শুরুতেই একদফা বেড়ে দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই একই বাজার ছিল। কিন্তু আবারো মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেছে। একদিন পুর্বে প্রতি কেজি বেগুন ৪০টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন দাম বাড়াকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি উল্লেখ করছেন তারা। সরবরাহ কমার কারনেই দাম বেড়েছে দাবী ব্যবসায়ীদের।

শুক্রবার সরেজমিন হিলির কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করেই হিলির কাচাবাজার থেকে বেগুন উধাও হয়ে গেছে। একদিন পুর্বেও বাজারের সব সবজির দোকানে বেগুন দেখা গেলেও অধিকাংশ দোকানেই বেগুনের দেখা মিলছেনা। দুএকটি দোকানে দেখা মিললেও সেই সাথে দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। তবে পেয়াজ ও কাচামরিচসহ অন্যাণ্য পণ্যের দাম পুর্বের মতোই রয়েছে।

হিলি বাজারে বেগুন কিনতে আসা ইসরাফিল হোসেন বলেন, রমজানে ইফতারিতে সাধারনত বেগুনের চপ খেয়ে থাকি যার কারনে বেগুন কিনতে এসেছি। কিন্তু বেগুন কিনতে এসে দেখি বেগুনের দামে তো আগুন লেগে গেছে। একদিন আগে যে বেগুন ৪০টাকা কেজি নিয়ে গেলাম সেই বেগুন আজ ৮০টাকা হয়ে গেছে। এমনকি রাতারাতি একদিনে হয়ে গেলো না বন্যা না ঝড় কি হলো যে বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেলো।এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয় তারাই ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। একেতো রমজান মাসে বাড়তি খরচ এর উপর এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মত নিন্ম আয়ের মানুষদের তো চরম সমস্যা আমাদের তো রাতারাতি আর আয় বাড়ছেনা। এখন বাধ্য হয়ে পরিমান কমিয়ে ফেলতে হচ্ছে পুর্বে যেখানে এককেজি কিনেছি এখন সেখানে হাফকেজি কিনতে হচ্ছে। যাতে বেগুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে সে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিনুর আলম বলেন, আসলে আমরা যেমন দামে কিনছি তেমন দামেই বাজারে সবজিগুলো বিক্রি করছি। একদিন আগেও আমরা যে বেগুন বাজারে ৪০টাকা বিক্রি করেছি বর্তমানে সেই বেগুন ৮০টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে একমাত্র কারন হলো মোকামেই বেগুনের দাম বেড়ে গেছে। আমরা সাধারনত পাশ্ববর্তী বিরামপুর হাট থেকে বেগুন কিনে হিলি বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু রমজানে ইফতারিতে বেগুনের চপের বাড়তি চাহীদা থাকায় বেগুনের চাহীদা বেড়েছে। যার কারনে ঢাকাসহ বাহিরের পাইকাররা এসে এখান থেকে প্রতিযোগীতামুলকভাবে বাড়তি দামে বেগুন কিনে নিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কমের কারনেই দাম বাড়ছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য নিয়ে যেন কোনমহল কোন ধরনের কারসাজি করতে না পারে বা অপ্রয়োজনে কোন পন্যের মুল্য বৃদ্ধি না পায়। এজন্য বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই মুল্যতালিকা না টাঙানোয় ও বাড়তি মুল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে বেশ কয়েক দোকানীকে জরিমানা করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যবৃদ্ধি রুখতে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আরো দেখুনঃ