হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান

হিলি প্রতিনিধি।।

ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বানিজ্য বৃদ্ধি। বন্দরের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো:রহমাতুল মুনিম।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন। এসময় তাকে স্থানীয় কাস্টমস,বন্দর কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। প্রথমেই তিনি হিলি স্থলবন্দরের পণ্য প্রবেশ পথ সীমান্তের চেকপোষ্ট গেট, কাস্টমসের ব্যাগেজ কার্যক্রম, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন। এর পরে তিনি কাস্টমসের ভবন নির্মানের জন্য ক্রয়কৃত জায়গা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এর পরে তিনি হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের বিভিন্ন ভবন ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি বন্দরের সভাকক্ষে স্থানীয় কাস্টমস কর্মকর্তা, বন্দর কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের সাথে এক বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো:রহমাতুল মুনিম সাংবাদিকদের বলেন, হিলি স্থলবন্দর পুরানো স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে একটি। এই স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রমসহ কাস্টমসের কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু এখানে অবকাঠামোগত কিছুর অভাব রয়েছে, যা আমরা অনুভব করি। দু:খের বিষয় ১৯৯০সালে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে কিন্তু ৩০বছর অতিবাহিত হলেও সে জায়গায় কোন অবকাঠামো নির্মান হয়নি। আমরা সম্প্রতি এর প্রজেক্ট পাশ করেছি কাস্টমসের যে অফিস আবাসিকভবনসহ যেসমস্ত সুবিধাদি প্রয়োজন সেটি হয়ে যাবে।

আমরা আশা করছি আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্মান কাজ শুরু করা যাবে। আর এই বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার সংখ্যা খুব কম এটিকে কিভাবে বাড়ানো যায় এটি নিয়ে আমার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছি। এটি বাড়াতে আমাদের পক্ষ থেকে বন্দরের অবকাঠামো, বন্দরের কার্যক্রম, কাস্টমসের কার্যক্রমের সুবিধা বাড়াতে যেসব সহযোগীতা দরকার সেটি করা হবে বলে জানান তিনি। একইসাথে পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে পরামর্শ প্রদান করেন। এসময় তিনি বন্দরের কার্যক্রম ও আমদানি রফতানিকারক, সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা মুলক স্বভাবের প্রশংসা করেন তিনি।

এসময় সেখানে কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের কমিশনার শওকত আলী সাদী। রংপুর কর অঞ্চলের করকমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম। হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম, হাকিমপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীব। ওসি খায়রুল বাশার, হিলি স্থলবন্দরের ম্যানেজার অশিত স্যানাল, এসএম হায়দার। জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আরো দেখুনঃ