দীর্ঘ একবছর পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বুট (ছোলা) ও মসুর ডাল আমদানি শুরু
হিলি প্রতিনিধি।।
রমজান মাসকে ঘিরে দেশের বাজারে ভালো চাহীদা থাকায় ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে দীর্ঘ একবছর পর আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চিকপিস অর্থাৎ বুট (ছোলা) ও মশুরডাল আমদানি শুরু হয়েছে। এদিকে নতুন এই পণ্য আমদানির ফলে বন্দরের আয় বাড়ার সাথে সাথে শ্রমিকদের আয় বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে গত ২৮মার্চ ২টি ট্রাকে ৬০টন চিক পিস অর্থাৎ (ছোলা) আমদানি করা হয়েছে। রাজশাহীর মেসার্স বিসমিল্লাহ ডাল মিল নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই বুটগুলো আমদানি করেন যা ভারতের পান্নালাল ইন্টারন্যাশনাল নামের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব রফতানি করেন। প্রতিটন বুট ৭৮৫মার্কিন ডলার মুল্যে এসব আমদানি করা হয়। যা কাস্টমসে ১হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার মুল্যে শুল্কায়ন করেছে। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের ২৯শে মার্চ ৩টি ট্রাকে ১০৮টন, গতকাল ৩০শে মার্চ ৩টি ট্রাকে ১০২টন মশুরডাল আমদানি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরো দুজন আমদানিকারকের মশুরডাল আমদানি হচ্ছে বন্দর দিয়ে। প্রতিটন মশুরডাল ৯৫০মার্কিন ডলার মুলে আর শুল্কায়ন করা হচ্ছে ১হাজার ৭০ মার্কিন ডলারমুল্যে। তবে এসব বুট ও মশুডাল শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে আমদানি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব সরবরাহ করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট রাশেদ ফেরদৌস বলেন, সামনে যেহেতু রমজান তাই দেশের বাজারে বুটের (ছোলা) বেশ ভালো চাহীদা রয়েছে। সেই চাহীদাকে ঘিরে দীর্ঘ একবছর পর আবারো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রাজশাহীর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ ডাল মিল বুট (ছোলা) আমদানি করছেন। বন্দর থেকে এসব বুট ছাড়করনের কাজ সম্পুর্ন করছে আমার সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি দেশের বাজারে মশুরডালের দাম বাড়তি থাকায় মশুর ডালের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আবারো ভারত থেকে মশুরডাল আমদানি শুরু করেছেন। সর্বশেষ গতবছর বন্দর দিয়ে মশুরডাল আমদানি হয়েছিল। এছাড়া মশুরডাল সাধারনত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল থেকে বেশী আমদানি হয়ে থাকে। দেশের বাজারের চাহীদা মেটাতে এর পাশাপাশি ভারত থেকেও মশুরডাল আমদানি শুরু করেছেন। তবে এতোদিন অন্য বন্দর দিয়ে মশুরডাল আসলেও সেখানে পণ্যজটের কারনে দীর্ঘ সময় লাগায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মশুরডাল আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকগন।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,বন্দর দিয়ে ভারত থেকে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি বেশকিছু নতুন পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বুট (ছোলা) ও মশুরডাল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন যে আয় সেটি অনেকটা বেড়েছে। সেই সাথে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মুজরি বাড়ায় তাদের মাঝেও স্বস্তি ফিরেছে।